সর্বনাশের মাথায় বাড়ি, গোপন জবানবন্দিতে পার্থর সব কীর্তি ফাঁস করে দিলেন জামাই
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ মার্চ ২০২৫
রাজসাক্ষী হতে চেয়ে আগেই আবেদন জানিয়েছিলেন আদালতের কাছে। অনুমতি পেয়ে মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের দ্বিতীয় জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজসাক্ষী হিসাবে গোপন জবানবন্দি দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, গোপন জবানবন্দিতে শ্বশুরমশাইয়ের নামে বিস্ফোরক সব দাবি করেছেন তিনি। সঙ্গে এর পর তাঁর বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত অনুরোধ আদালত ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবে বলেও আবেদন জানিয়েছেন প্রবাসী ব্যবসায়ী কল্যাণময়বাবু।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে কল্যাণময়বাবু জানিয়েছেন, কার্যত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে দুর্নীতিতে জড়াতে বাধ্য হন তিনি। ২০১৭ সালে শাশুড়ি বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর তাঁর নামে একটি ট্রাস্ট তৈরি করেন পার্থ। সেই ট্রাস্টের চেয়ারম্যান করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা তথা কল্যাণময়বাবুর স্ত্রী সোহিনী চট্টোপাধ্যায়কে। সেই ট্রাস্টের নামে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় ১৫ কোটি টাকা ব্যায় করে তৈরি করা হয় স্কুল। সেই স্কুল পরিচালনার ভার ছিল কল্যাণময়বাবুর ২ মামার ওপরে।
পার্থবাবুর গ্রেফতারির পর নিউ ইয়র্ক প্রবাসী কল্যাণময়বাবুকে তলব করে ইডি। ইডির তলবে পেশায় পোশাকব্যবসায়ী কল্যাণময়বাবু কলকাতায় আসেন। কিন্তু মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হতেই তাঁর দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। সূত্রের খবর, গোপন জবানবন্দি দেওয়ার পর বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি পেতে আদালতে আবেদন জানাতে পারেন তিনি।
সূত্রের খবর কল্যাণময়বাবু আরও জানিয়েছেন, বিভিন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা নগদে পৌঁছে দেওয়া হত। সেই ব্যক্তিরা ওই টাকা থেকে তাদের কমিশন কেটে বাকি টাকা বাবলি চট্টোপাধ্যায় চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দিতেন। এই ট্রাস্টের নামে বহু জমিও কেনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কল্যাণময়। তিনি বলেছেন, এই দুর্নীতিতে জড়ানোর কোনও ইচ্ছা ছিল না তাঁর। শুধুমাত্র প্রভাবশালী শ্বশুরমশাইয়ের নির্দেশে স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।