• অস্ত্রের ডেলিভারি দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার প্রাক্তন বিজেপি নেতা, উদ্ধার পিস্তল-গুলি, কী বললেন ধৃত?
    এই সময় | ১৮ মার্চ ২০২৫
  • অস্ত্রের ‘ডেলিভারি এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি। ধৃতের নাম গঙ্গাধর কর্মকার। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গলসির সিমনোরিতে। ধৃতের থেকে ‘মুঙ্গের মেড’ ৭ এমএম পিস্তল এবং ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। মুঙ্গের থেকে অস্ত্র নিয়ে এসে তা অন্য কাউকে হস্তান্তরিত করা উদ্দেশ্য ছিল তাঁর, প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ২৫(১বি) (এ) ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে জেলা পরিষদের প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি।

    যদিও জেলা বিজেপির মুখপাত্র শান্তরূপ দে বলেন, ‘গঙ্গাধর কর্মকার এক সময়ে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এখন তাঁর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি কোনও দায়িত্ব নেই। আইন আইনের পথে চলবে।’ আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে গঙ্গাধর জানান, তিনি আর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। এই পিস্তল এবং গুলি ২২-২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁকে বিহারের একজন দিয়েছিলেন।

    উল্লেখ্য, সোমবারই খাস কলকাতা থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র আনার অভিযোগে হাসান শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, তিনি মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা। বিহার থেকে চোরাপথে সেই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি নিয়ে আসা হয়েছিল এ রাজ্যে, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল এমনটাই।

    এ বার সেই বিহারের মুঙ্গেরে তৈরি হওয়া পিস্তল উদ্ধার হলো বর্ধমানের ধৃতর থেকেও। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে তদন্তকারীদের। জানা গিয়েছে, সোমবার মুঙ্গের থেকে অস্ত্র এনে পাণ্ডুয়ায় ডেলিভারি দিতে যাওয়ার সময়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করা হয় গঙ্গাধর কর্মকারকে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেমারি থানার এক পুলিশ কর্মী জানান, আগে থেকেই এই অস্ত্র ডেলিভারির খবর আসে গোপন সূত্রে। এর পরেই গঙ্গাধরের উপর কড়া নজর রাখা হয়েছিল। সোমবার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কানাইডাঙা এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। তল্লাশিতে তাঁর থেকে অস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার হয়। গঙ্গাধরের সঙ্গে এই চক্রে আরও কেউ জড়িত কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন জানাবে পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)