• ‘ট্যুরিস্ট বন্ধু’ পুলিশের সাহায্য, বিপদ থেকে রক্ষা বাসযাত্রীদের
    এই সময় | ১৮ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়, লাটাগুড়ি: দুই সন্তানকে নিয়ে মিনিবাসে চেপে স্কুল শেষে বাড়ি ফিরছিলেন লাটাগুড়ির বাসিন্দা অঞ্জনা দে সরকার। শুধু তিনি নন, সোমবার ওই বাসে ছিলেন আরও তিরিশ জন যাত্রী। বাসটি লাটাগুড়ি জঙ্গলের শেষপ্রান্তে পৌঁছনোর ঠিক আগে হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে। বাস থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু করলে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে যাত্রীদের অনেকে পায়ে হেঁটে লাটাগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।

    তবে জঙ্গলের মাঝে পায়ে হেঁটে যাওয়ার ঝুঁকিও ছিল। বাসটি যেখানে বিকল হয়েছিল, মিনিট কয়েক আগে ওই রাস্তা দিয়ে একটি হাতিকে যেতে দেখেছেন বনকর্মীরা। ফলে, হাতি কিংবা বন্যপ্রাণীর সামনে পড়ে বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ছিল।

    সেই সময়ে জঙ্গলের মাঝে নজরদারি করছিল ‘ট্যুরিস্ট বন্ধু’ পুলিশ ভ্যান। তড়িঘড়ি সাহায্যের হাত বাডিয়ে দেন ওই পুলিশ ভ্যান–এর দায়িত্বে থাকা অফিসার সুরজিৎ মল্লিক–সহ বাকি পুলিশকর্মীরা। তাঁরা জানতে পারেন, মিনিট দশেক আগে জনা কয়েক যাত্রী জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটেই রওনা দিয়েছেন।

    পুলিশ ভ্যান নিয়ে দ্রুত যাত্রীদের তুলে নিয়ে নিরাপদে লাটাগুড়ি বাজারে পৌঁছে দেন তাঁরা। ওই বাসে থাকা অঞ্জনার কথায়, ‘বাতাবাড়ির একটি স্কুল থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে বাসে করে ফিরছিলাম। আচমকাই লাটাগুড়ি আসার আগে বাসটি বিকল হয়ে যায়।

    বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে বাধ্য হয়ে সন্তানদের নিয়ে পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছিলাম। জানি, অনেকটা ঝুঁকি ছিল, হাতি ওই পথে আসতে পারত। পুলিশের ভ্যান উদ্ধার করে বাড়িতে নিরাপদে পৌঁছে দিয়েছে।’ আর এক যাত্রী কল্যাণী রায় বলেন, ‘মালবাজার থেকে মৌলানিতে ফিরছিলাম। হঠাৎ বাসটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও বাসটির ইঞ্জিন চালু হয়নি। বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটেই রওনা দিই।’

    তবে বাসটি যেখানে বিকল হয়েছিল, মিনিট কয়েক আগে ওই রাস্তা দিয়ে একটি হাতিকে যেতে দেখেছেন বনকর্মীরা। ফলে, হাতি কিংবা বন্যপ্রাণীর সামনে পড়ে বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ছিল। বাসে থাকা যাত্রীরা ট্যুরিস্ট বন্ধু পুলিশকর্মীদের কুর্নিশ জানিয়েছেন। ওই বাসের এক কর্মী জানান, গ্যাসকিট কেটে গিয়ে এই বিপত্তি। আচমকা ধোঁয়া বের হতে দেখে যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।

  • Link to this news (এই সময়)