যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির ঘটনায় আরও এক পড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সৌপ্তিক চন্দ্র। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তৃণমূল সমর্থিত কর্মী সংগঠন ‘শিক্ষাবন্ধু’-র অফিসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে নেমে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গত ১ মার্চ ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ব্রাত্য বসুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান অতি বাম এবং বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছিল ছাত্রদের একাংশের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, ব্রাত্য বসুর গাড়িতে ধাক্কা লেগে আহত হয়েছেন এক ছাত্র। সবমিলিয়ে তরজা তুঙ্গে ওঠে।
ওই রাতেই ‘শিক্ষাবন্ধু’র অফিসে আগুন লাগে। অভিযোগ ছিল, ইচ্ছে করে ওই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই মর্মে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে যাদবপুর থানার পুলিশ। এর আগে সংশ্লিষ্ট ঘটনায় সাহিল আলি নামে এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে অবশ্য তিনি জামিন পান।
এ দিকে একই মামলাতে গত ১২ মার্চ সোম্যদীপ মোহন্ত ওরফে উজান নামে দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে জামিন মঞ্জুর করেছিলেন বিচারক। এর পর তাঁকে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ‘আজাদ কাশ্মীর’ পোস্টার লাগানোর বিতর্কে শোন অ্যারেস্ট দেখাতে চেয়েছিল পুলিশ। সেই মামলাতেও জামিন পান উজান। কিন্তু, যাদবপুরে এই পোস্টার বা দেওয়াল লিখন অন্তত তিন বছর আগেকার। উজান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় এক বছর আগে। এই তথ্য সামনে রেখেই সরব হয়েছেন পড়ুয়াদের একাংশ।