সোমবার রাতে ঝড়ে লন্ডভন্ড পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একাংশ। শুধু ঝড় নয় সঙ্গে প্রবল শিলাবৃষ্টিও হয়েছে এ দিন। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কেশিয়াড়ি, নারায়ণগড়, খড়্গপুর এবং সবং এলাকায়। ঝড় ও শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে মাটির বাড়ি, টালির চাল ভেঙে আহত হয়েছেন নয়াগ্রামের এক যুবক। এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় ভেঙে পড়েছে বড় বড় গাছ এবং উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেশিয়াড়ি ব্লকের খাজরা, নয়াগ্রাম এবং নারায়ণগড় ব্লকের মকরামপুর, পাকুড়সেনি ও কুনারপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ের তাণ্ডবে উড়ে গেছে মাটির বাড়ির চাল, ভেঙে পড়েছে শতাধিক কাঁচা বাড়ি। খড়্গপুর মহকুমার বিভিন্ন ব্লকে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে মাঠে থাকা আলু, সদ্য রোপন করা বোরো ধানের চারা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাশাপাশি, সোমবার রাত থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে কেশিয়াড়ি ব্লকের একাধিক গ্রাম। স্থানীয়দের অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্তও এলাকায় বিদ্যুৎ আসেনি।
জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী বলেন, ‘আমরা যে তথ্য পেয়েছি তাতে খড়্গপুর মহকুমার নারায়ণগড়, কেশিয়াড়ি, সবং ও খড়্গপুর-১ নং ব্লকের প্রায় ৬০০ মাটির বাড়ি আংশিক এবং ৬০টির মতো বাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই প্রায় ৭০০-র বেশি ত্রিপল ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছি। প্রশাসনের তরফে পাশে থাকারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন আধিকারিকরা।’
উল্লেখ্য়, আগামী ২০ থেকে ২২ মার্চ পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ব্যাপক ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।