আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি ধরা পড়ল হিউম্যান করোনাভাইরাস। কলকাতার এক মহিলার শরীরে মিলল এই ভাইরাস। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার গড়িয়াতে। এই ভাইরাস বেটাকরোনাভাইরাস বা এইচকেইউওয়ান ভাইরাস নামেও পরিচিত। কলকাতার গড়িয়ার ৪৫ বছর বয়সী এক মহিলার শরীরে এই ভাইরাস প্রথম ধরা পড়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে ওই মহিলার কাশি, জ্বর এমনকী সর্দি-কাশির মতো নানান লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। তবে ওই মহিলা বর্তমানে বেশ কিছুটা স্হিতিশীল। তিনি দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলেও জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য আশ্বস্ত করছেন। সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে লক্ষণগুলি সম্পর্কে কিছু সচেতনতা অবলম্বন করার কথা বলেছেন। এই ভাইরাস কী? হিউম্যান করোনাভাইরাস বা বেটাকরোনাভাইরাস হংকোনেন্স উপরের শ্বাসনালীর সংক্রমণ ঘটায়। ২০০৪ সালে হংকংয়ের একজন রোগীর মধ্যে প্রথম এই ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়। এই ভাইরাসের লক্ষণগুলি কী কী? নাক দিয়ে জল পড়া, কাশি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা এমনকী শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে। যদি সঠিকসময়ে চিকিৎসা না করা হয় তাহলে ব্রঙ্কিওলাইটিস বা নিউমোনিয়া হতে পারে।
কারা কারা এই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন?
যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, বয়স্ক, শিশু, হাঁপানি কিংবা ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের মতো বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের ঝুঁকি বেশি। এই ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক। কাশি, হাঁচি, এমনকী হাত মেলানো, দূষিত কোনও বস্তু স্পর্শ করার মাধম্যে বায়ুবাহিত এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞরা হিউম্যান করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকার জন্য কয়েকটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এর থেকে বাঁচতে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান এবং জল দিয়ে নিয়মিত নিজের হাত ধুয়ে নিন। যে এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেই এলাকায় মাস্ক পরুন। কাশি এবং হাঁচি দেওয়ার সময় মুখ এবং নাক ঢেকে রাখুন। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।