• ডিএমের কাছে আবেদন করলেই শংসাপত্র! তৃতীয় লিঙ্গের জন্য কী কী সুবিধা, জানালেন শশী
    আনন্দবাজার | ১৮ মার্চ ২০২৫
  • পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য কী কী বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে, মঙ্গলবার বিধানসভায় তা জানালেন রাজ্যের নারী এবং শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। লালগোলার বিধায়ক মহম্মদ আলি বিষয়টি উত্থাপন করেন বিধানসভায়। চাকরির ক্ষেত্রে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজনকে কোনও সংরক্ষণ দেওয়া যায় কি না, সেই প্রস্তাব দেন তিনি। তার জবাবেই শশী জানান যে, ২০১১ সালে এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য কী কী করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

    শশী বিধানসভায় জানান, কেন্দ্র আইন আনার আগেই এই রাজ্যে সরকার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য পদক্ষেপ করে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট রূপান্তরিত এবং রূপান্তরকামীদের তৃতীয় লিঙ্গের মর্যাদা দেয়। শশী জানান, সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ করেছিল সরকার। সচেতন করা হয়েছিল সকলকে। এই প্রসঙ্গে শশী মানবী মুখোপাধ্যায়ের উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি জানান, মানবী একটি কলেজের অধ্যক্ষ হয়েছেন।

    শশী আরও জানিয়েছেন, তৃতীয় লিঙ্গের জন্যে চাকরি-সহ আবেদনপত্রে জায়গা রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছিলাম তাঁদের ভোটদানের ব্যবস্থা করতে। অতিমারির সময়ে তাঁরা যাতে ব্রাত্য না হন, সেই পদক্ষেপও করা হয়েছে। তাঁদের জন্য আলাদা শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ শশী জানিয়েছেন, সরকার চায় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজন যাতে সামাজিক স্বীকৃতি পান, সমাজে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়, এ জন্য সমাজকে সচেতন করার প্রয়োজন। তৃতীয় লিঙ্গের শংসাপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন শশী। তিনি জানিয়েছেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ক্ষেত্রে ‘সেল্ফ ডিক্লারেশন’ই যথেষ্ট। জেলাশাসকের কাছে আবেদন করলে শংসাপত্র বা পরিচয়পত্র পেতে তাঁদের অসুবিধা হবে না।

    এই প্রসঙ্গে শশী পরে বিধানসভার বাইরে বলেন, ‘‘আমরা ক্ষমতায় আসার আগে এ রাজ্যে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য কোনও ব্যবস্থা ছিল না। আমাদের সরকার আসার পরে একাধিক বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছি। বিধায়ক আজ প্রশ্ন করেছেন। ২০১১ থেকে কী কী কাজ করেছে রাজ্য, সবটাই জানানোর চেষ্টা করেছি।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)