অধিবেশনে বলতে বাধা, স্পিকার বিমানের নামে ‘নালিশ’ জানাতে তাঁরই বিধানসভা কেন্দ্রে সভা শুভেন্দুর
আনন্দবাজার | ১৮ মার্চ ২০২৫
বিধানসভায় অধিবেশনে তাঁকে বলতে দেওয়া হয় না। প্রতি পদে পদে বাধা দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়! এমনই অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাঁকে একা নয়, বিরোধীদলের কোনও বিধায়ককেই বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালীন কথা বলতে দেন না স্পিকার। এই অভিযোগ তুলে এ বার বিমানেরই বিধানসভা কেন্দ্র বারুইপুর পশ্চিমে সভা করবেন শুভেন্দু। সেখানকার মানুষের কাছে তাঁদের বিধায়কের নামে ‘নালিশ ঠুকে’ আসবেন তিনি!
বুধবার বারুইপুর পশ্চিমে সভা করবেন শুভেন্দু। তাঁর সঙ্গে থাকবেন অন্য বিজেপি বিধায়েকরা। বিরোধী দলনেতার দাবি, বিধানসভায় কী ভাবে বিজেপি বিধায়কদের কথা বলতে দেওয়া হয় না, সেটাই ওই সভায় তুলে ধরা হবে। শুভেন্দুর নিশানায় রয়েছেন বিমান। তাই তাঁরই বিধানসভার মানুষদের কাছে বিমানের ‘কীর্তি ফাঁস’ করবেন বলেও জানান বিরোধী দলনেতা।
আরজি কর-কাণ্ডের আবহে ধর্ষণ, মহিলা নির্যাতন রুখতে ‘অপরাজিতা বিল’ এনেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত ৩ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় বিলটি পেশ করা হয়েছিল। শুভেন্দুর অভিযোগ, অপরাজিত বিল নিয়ে আলোচনার দিন তাঁকে পদে পদে বাধা দিয়েছেন বিমান। তিনি কিছু বলতে গেলেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, বিল নিয়ে শুভেন্দুর সংশোধনীও খারিজ হয়ে যায়। বিজেপির অভিযোগ, সংশোধনী খারিজ হওয়া নিয়ে শুভেন্দুরা বিক্ষোভ দেখালে, তাঁদের ‘ধমক’ দিয়ে থামিয়ে দেন স্পিকার। মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, সেই দিন বিধানসভায় কী ঘটেছিল, তার ভিডিয়ো বারুইপুরবাসীকে বুধবার তিনি দেখাবেন।
যদিও তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে বিরোধী দলনেতার সভাকে ‘পাত্তা’ দিতে নারাজ স্পিকার। শুভেন্দুর সভা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিমান বলেন, ‘‘করতেই পারেন। তাঁর যেখানে ইচ্ছা যেতে পারেন। এমন নয়, যেমন নন্দীগ্রামে মিছিল করতে গেলে আমাদের বাধা দেওয়া হয়, এখানে তেমন কিছুই হবে না।’’
উল্লেখ্য, বিধানসভায় প্রায়ই বিমান-শুভেন্দুর মধ্যে কথা কাটাকাটির দৃশ্য দেখা যায়। সম্প্রতি শুভেন্দু-সহ তিন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বিশ্বনাথ কারক এবং বঙ্কিম ঘোষকে এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছিলেন স্পিকার। অভিযোগ, বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বে ওয়েলে নেমে কাগজ ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। স্পিকারের নিষেধ সত্ত্বেও থামেননি শুভেন্দুরা। মঙ্গলবার তাঁদের সাসপেনশন উঠে গেলেও তিনি অধিবেশনে যোগ দেননি। তার পরই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে বারুইপুরের সভা করার কথা জানান শুভেন্দু।