• কাল থেকে টানা ৪ দিন বৃষ্টির আভাস দক্ষিণবঙ্গে
    এই সময় | ১৯ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়: বিপরীতমুখী দু’টি বাতাসের প্রবাহের মধ্যে বিপুল পরিমাণে জলীয় বাষ্পের আদান–প্রদানের দৌ‍লতে কাল, বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব ক’টি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টি হওয়ার অবস্থা ক্রমেই আরও বেশি করে তৈরি হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্যের জেলা ভিত্তিক আবহাওয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস।

    আলিপুর জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার, টানা চার দিন দক্ষিণবঙ্গের ১৫টি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। এর মধ্যে প্রথম তিন দিন কলকাতা, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। এই তিন দিনের শেষ দিন, শনিবার, ২২ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ইডেনে আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ কেকেআর এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মধ্যে। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস তাই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াল।

    দক্ষিণবঙ্গের বাকি ১২টি জেলায় হলুদের পাশাপাশি কমলা সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, শীতে টানা কয়েক মাস আবহাওয়া শুকনো থাকায় বাতাসের স্তরগুলি ভাসমান কণায় পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। যা বজ্রপাতের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। গত কয়েক বছরের তথ্য অনুযায়ী গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বজ্রপাতে প্রাণহানি বেড়েছে অনেকটাই। তাই, বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে দেখে আর ঝুঁকি নেননি আবহবিদরা। হলুদের পাশাপাশি জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতাও।

    আবহবিদরা জানাচ্ছেন, ভারত মহাসাগরের উত্তর দিকে তৈরি একটি ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে আরব সাগর থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস কয়েক দিন ধরেই ঢুকছিল মধ্য ভারতের মালভূমি অঞ্চলে। শীতের শেষ প্রভাব টুকু কাটিয়ে ওঠার পর ফেব্রুয়ারির শেষ থেকেই বাড়ছিল এই অঞ্চলের তাপমাত্রা। উত্তপ্ত মালভূমির উপরের বাতাসের স্তর গরম হয়ে আরও উপরে উঠে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই শূন্যস্থান পূর্ণ করতে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস ঢুকছিল দেশের পূর্ব উপকূল দিয়ে। যার জেরে মধ্য ভারতের মালভূমির উপরে বিপরীতমুখী দুই বাতাসের প্রবাহের মোলাকাত।

    আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ রবীন্দ্র গোয়েঙ্কার বক্তব্য, ‘আরব সাগর থেকে যে বাতাস ঢুকছিল, তা এমনিতেই প্রচুর বাষ্পে ভর্তি। তার উপর বঙ্গোপসাগরের বাতাস। মধ্য ভারতের মালভূমিতে এই দুই বিপরীতমুখী বাতাসের জলীয় বাষ্পের ভাণ্ডার মিশে গিয়েছে। এর প্রভাবেই অনেকটা এলাকা জুড়ে বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা।’ দিন কয়েক আগে অসম ও বাংলাদেশের পূর্ব দিকে পর পর দু’টি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ায় বৃষ্টি পেয়েছিল উত্তরবঙ্গ। এ বার প্রকৃতির খেয়ালে বৃষ্টি পাওয়ার পালা বাংলার দক্ষিণ অংশের।

  • Link to this news (এই সময়)