এই সময়: অতিমারী সৃষ্টিকারী নভেল করোনাভাইরাস নয়। সাবেক হিউম্যান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইএম বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক মাঝবয়সি মহিলা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই এইচকেইউ–১ ভাইরাসটি আদতে সাবেক করোনারই একটি রূপ। যে ভ্যারিয়েন্টকে বিটাকরোনাভাইরাস হংকনেজ় বলা হয়। এই ভাইরাস মানুষ এবং পশু, দু’জনকেই সংক্রমিত করতে পারে। এই ভাইরাস বরাবরই ছিল এবং থাকবেও। তবে এ থেকে অতিমারী বা মহামারী সৃষ্টির আশঙ্কা নেই। বছর পঁয়তাল্লিশের ওই মহিলার শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, দু’ সপ্তাহেও জ্বর–সর্দির উপসর্গের কোনও উন্নতি না–হওয়ায় এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিহ্নিত হয় হিউম্যান করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টি। ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হিউম্যান করোনাভাইরাসের বিভিন্ন রূপের মধ্যে এই রোগিণী এইচকেইউ–১ সাবটাইপে আক্রান্ত। তা ছাড়া, হিউম্যান করোনাভাইরাসের ২২৯ই, এনএল৬৩, ওসি৪৩ সাবটাইপ রয়েছে।
সব ক’টির সংক্রমণেই সাধারণ সর্দি–কাশি–জ্বরের উপসর্গ দেখা যায়। এতে সংক্রণের কবলে মূলত পড়ে শ্বাসনালীর উপরিভাগ। খুব কম সংখ্যক রোগীকেই নিউমোনিয়া কিংবা শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তবে সাধারণ সর্দি–কাশির মতোই রোগীদের নাক দিয়ে জল ঝরা, মাথা ব্যথা, গলা খুসখুস করার মতো উপসর্গ থাকে।
এই এইচকেইউ–১ সাবটাইপের হিউম্যান করোনাভাইরাস প্রথম চিহ্নিত হয় ২০০৪ সালে। তবে এখনও এর কোনও টিকা আবিষ্কার হয়নি। তার কোনও দরকারও নেই বলে চিকিৎসকরা অভয় দিচ্ছেন।