এই সময়, আলিপুরদুয়ার: প্রতিবেশী দেশে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল যুবক ছেলের। তাঁর দেহ এনে রীতি মেনে কবরও দেওয়া হয়। ছেলের দেহ কবরস্থ করা হলেও ওই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মৃতের মা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ছেলের দেহ তুলে ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
সেই নির্দেশ অনুযায়ী কবর থেকে দেহ ওঠানো হলো। আলিপুরদুয়ার জেলার ভুটান সীমান্তবর্তী জয়ঁগা এলাকার ঘটনা। মঙ্গলবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ কবর থেকে মৃতদেহ তোলে।
২০২৩ সালে এপ্রিল মাসে ভুটানের ওয়াংদি এলাকায় শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয় আলিপুরদুয়ার জেলার সীমান্ত শহর জয়গাঁর গুয়াবাড়ি এলাকার বছর কুড়ির যুবক আসমদ আলির। কর্মস্থলে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। যে সংস্থায় তিনি কাজ করছিলেন সেখান থেকে বলা হয়, আসমদ আত্মঘাতী হয়েছেন।
তাঁর দেহ এনে সমাধিস্থ করা হয়। কিন্তু ভিন দেশে গিয়ে ছেলের এরকম মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি মা আসিরুল বিবি। ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে কিছু লুকানো হচ্ছিল বলে দাবি তাঁর। এর পরে মৃত্যুর কারণ জানতে প্রথমে থানায় অভিযোগ করতে যান তিনি।
অভিযোগ, সেখান থেকে খালি হাতে ফিরতে হয় আসিরুলকে। শেষে বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। উচ্চ আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে দেহ তোলা হয়। এরপর আসমদের দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।
এ দিন আসিরুল বলেন, 'আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। আমি পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু পুলিশ তা কানে তোলেনি। তাই আমি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই। এখন কোর্টের নির্দেশে আবার নতুন করে ময়নাতদন্ত হবে। আমি আমার ছেলের মৃত্যুর বিচার চাই।' মঙ্গলবার দেহ তোলা দেখতে মানুষ ভিড় করেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কর্তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।