• ঠাকুরবাড়ির মতুয়া মেলা এ বার কার হাতে, আজই কি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত?
    এই সময় | ১৯ মার্চ ২০২৫
  • ঠাকুরনগরের মতুয়া মেলা। প্রতি বছর লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয় এই মেলা ঘিরে। কিন্তু মেলা কে পরিচালনা করবেন, তা নিয়ে টানাপড়েন কেটেও কাটছে না। ইতিমধ্যেই ৬২ বছর আগের আইনে মতুয়া উৎসবের অনুমতি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এতদিন এ মেলার দায়িত্ব পেয়ে এসেছেন মমতাবালা ও তাঁর অনুগামীরা। কিন্তু এ বার শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীরা চান সে দায়িত্ব নিয়ে। আদালতের নির্দেশেই জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ দুই পক্ষ। ১৯ মার্চ অর্থাৎ আজকের মধ্যে আবেদন বিবেচনা করে জেলা পরিষদকে নতুন করে অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আজই কি চূড়ান্ত হবে, এ বার কোন পক্ষের হাতে যাবে মেলা?

    তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের অনুগামীদের হাতে এত দিন ঠাকুরনগর উৎসবের অনুমতি ছিল। এ দিকে ওই একই অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সম্প্রতি সেই মামলার নথি দেখে বিচারপতি অমৃতা সিনহা মমতাবালার অনুমতি বাতিল করে দেন।

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, ১৯৭৩ সালে রাজ্য পঞ্চায়েত আইন আসার পর ১৯৬৩ সালের জেলা পরিষদ আইন অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই আইনেই জেলা পরিষদ এক পক্ষকে অনুমতি দিয়ে গিয়েছে এত দিন। তাই সেই অনুমতি বাতিল করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নতুন করে দু’পক্ষকে আবেদন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। ১৯ মার্চের মধ্যে তা বিবেচনা করে নতুন করে অনুমতি দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন জেলা পরিষদকে।

    এ দিকে আজই ১৯ মার্চ। এ দিন দু’পক্ষই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়। আদালতে নির্দেশে বারাসত অতিরিক্ত জেলাশাসক (ডেভেলপমেন্ট) অফিসে এই বিষয়ে শুনানি হয়। মমতাবালা ও শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীরা, উভয়েই নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। কাগজপত্রও জমা দিয়েছেন। মমতাবালা ঠাকুরের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর ও কয়েকজন আইনজীবী। তাঁদের দাবি, এতদিন ধরে যে নিয়মে মেলার অনুমতি মিলেছে, সেই নিয়ম অনুযায়ী এবারও মমতাবালা ঠাকুরের পক্ষে অনুমতি থাকা উচিত। তবে শান্তনু ঠাকুরের শিবিরের সঙ্গে সমঝোতা করেই মেলা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তাঁরা।

    মধুপর্ণা ঠাকুর বলেন, ‘আমি ভোটের সময়েও দাদার কাছে আশীর্বাদ চেয়েছিলাম। আবারও দাদাদের সঙ্গে কথা বলব, যাতে মতুয়া মেলা একসঙ্গে করা যায়।’ তবে শান্তনু ঠাকুরের তরফে মতুয়া মহাসংঘের সম্পাদক সুখেন্দু গাইনও এ দিন চার জন আইনজীবীকে নিয়ে শুনানিতে অংশ নেন।

    তাঁদের দাবি, নতুন আইনের ভিত্তিতে মেলার অনুমতি পাওয়ার অধিকার শান্তনু ঠাকুরের। সমস্ত কাগজপত্রও রয়েছে তাঁদের কাছে। সে ক্ষেত্রে তিনি জানান, দু’পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে তবেই মেলা পরিচালনা করা উচিত। তবে প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়নি।

  • Link to this news (এই সময়)