• সিসিটিভি বিকল করে দিয়ে পর পর স্কুলে চলছিল লুঠপাট, পুলিশ গ্রেফতার করল চারজনকে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ মার্চ ২০২৫
  • লুঠপাট করে জীবন চালানোই লক্ষ্য। আর এই কাজে যাতে তারা ধরা না পড়ে যায় তার জন্য সিসিটিভির ডিভিআর বিকল করা হচ্ছিল। সিসিটিভির ফুটেজ উধাও করে দিয়ে কলকাতা এবং হাওড়ার মোট ৯টি স্কুলে ‘লুঠপাট’ করেছে লুঠেরা গ‌্যাং। দক্ষিণ কলকাতার নেতাজিনগর এলাকার স্কুলও বাদ যায়নি। এন এস বোস রোডের বালিকা বিদ‌্যালয়েও লুঠপাট করে তারা। মোট ৯টি স্কুলের মধ্যে ভাঙড় এলাকার তিনটি স্কুলে চুরির কিনারা করে ফেলল লালবাজারের গোয়েন্দারা। আর তা করতে গিয়েই ধরা হয় দু’জনকে। তারা এখন জেলে।

    ওই দু’‌জনকে জেরা করে মেলে বিস্তর তথ্য। তার উপর ভিত্তি করেই মঙ্গলবার পর্ণশ্রী এবং বেহালা থানার পুলিশ আরও দুই যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুই যুবক মহেশতলা এলাকার। শেখ ইকবাল এবং শেখ ইমরান ওই লুঠেরা গ্যাংয়ের সদস্য। আগের দু’‌জনকে তারে চেনে বলে জেরায় জানিয়েছে। শেখ ইকবাল এবং শেখ ইমরান কলকাতা এবং হাওড়ার স্কুলে পরপর লুঠপাটের সঙ্গে যুক্ত। তবে এখনও গ‌্যাংয়ের বাকি তিন থেকে চারজন পলাতক। তারা গা–ঢাকা দিয়েছে। ধৃতদের জেরা করে বাকিদের সম্পর্কে তথ্য জানার কাজ চলছে। পুলিশ এখন লুঠ হওয়া টাকা উদ্ধারের জন‌্যও তল্লাশি চালাচ্ছে।


    পর্ণশ্রী, বেহালা থেকে শুরু করে লুঠপাট চলে নেতাজিনগর, হাওড়া এলাকাতেও। যাতে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সাঁকরাইলে একসঙ্গে তিনটি স্কুলে হয়েছে লুঠপাট। আর এভাবেই নিজেদের সংসার চালাচ্ছিল লুঠেরা গ্যাংয়ের সদস্যরা। আর তার জন্যই তারা স্কুলকে বেছে নিয়েছিল। কারণ রাতে স্কুলগুলি ফাঁকাই থাকে। দুষ্কৃতীরা স্কুলগুলির অফিসঘরে হানা দেয়। আর আলমারির লকার ভেঙে তারা লুঠ করে স্কুলের জন্য রাখা টাকাকড়ি। আর পুলিশ তদন্তে নেমে দেখেছে, প্রত্যেকটি ঘটনায় তারা লুঠপাট করার আগে বিকল করে দেয় স্কুলের সিসিটিভি। সব স্কুল থেকেই তারা চুরি করে নেয় স্কুলের ডিভিআর। যাতে প্রমাণ না থাকে। তবে স্কুলের বাইরের ফুটেজই কয়েকজন দুষ্কৃতীর ছবি সামনে নিয়ে আসে।

    পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, এই লুঠেরা গ্যাং দক্ষিণ ২৪ পরগনারই। মোট আটজন দুষ্কৃতী। চারজন গ্রেফতার হয়েছে। বাকি চারজন গা–ঢাকা দিয়ে আছে। ভাঙড়ের বোদরা এলাকার দু’টি স্কুল এবং বিজয়গঞ্জ বাজারের কাছে একটি স্কুলে লুঠপাট করে তারা। তার মধ্যে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। এই লুঠেরা দলের সদস্যরা দিনে সাইকেল ও মোটরবাইকে করে এলাকার স্কুলগুলিতে ঘুরে রেইকি করত। কোন স্কুলে নিরাপত্তারক্ষী থাকেন না সেটা দেখে পরিকল্পনা করত। তারপরই রাতে চলত অপারেশন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)