বুধবার দুপুরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বারুইপুরে। তিনি বারুইপুরে পৌঁছলে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মিছিলের কর্মসূচি বাতিল করেই শুভেন্দুকে ফেরত আসতে হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় পুরাতন বাজার এবং শিবানী পীঠ এলাকায়।
বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন সাসপেন্ড হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির একাধিক বিধায়ক। বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা এলাকাতেই মিছিলের কর্মসূচি নেয় বিজেপি।
মিছিলে যোগ দিতে শুভেন্দু অধিকারী গাড়ি নিয়ে ঢোকার সময় থেকেই উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। তৃণমূল সমর্থকদের উদ্দেশে পাল্টা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। এ দিনই আবার পাল্টা কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। দুই তরফের কর্মী, সমর্থকদের মধ্যেই ঝামেলা শুরু হয়। বাধ্য হয়ে মিছিলের কর্মসূচি বাতিল করে ফিরে আসেন শুভেন্দু।
তিনি বলেন, ‘আমার গাড়িতে লাঠি দিয়ে হামলা চালানো হয়। আমি গাড়ি থেকে নামলে মেরে দিত। বাংলার জন্য আমি মরতে রাজি আছি। তবে এর জবাব হবে। পুলিশ সুপারকে এর জবাব দিতে হবে।’ আগামী ২৭ মার্চ পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি।
যাদবপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি মনোরঞ্জন জোয়ারদার বলেন, ‘বারবার পুলিশ সুপারকে জানানো হয়। বিকাল ৩টা পর্যন্ত তৃণমূলের মাইক বাজানোর অনুমতি থাকলেও তা মানা হয়নি। পুলিশ সুপার সম্পূর্ণ ব্যর্থ।’
পাল্টা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওখানে কী হয়েছে জানি না। তবে ওঁদের নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ছিল, সেই কারণেই ঝামেলা হয়েছে। তবে বিজেপি বিধায়কদের বিধানসভায় বলতে দেওয়া হয় না এই অভিযোগ তুলে বিষয়টিকে বারুইপুরে কেন টেনে নিয়ে যাওয়া হলো, তা বুঝলাম না।’