ছাত্রীর বাড়ির গয়নার উপর নজর ছিল শিক্ষকের। বহু দিন ধরেই টার্গেট ছিল। সেই লক্ষ্যে ছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালালো শিক্ষক। যাতে চুরির খবর নাবালিকা ছাত্রী কাউকে জানাতে না পারে, তার জন্য ছাত্রীকে খুনের চেষ্টারও অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশের কাছে। তার ভিত্তিতেই একটি মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। বুধবার চিৎপুরের ঘটনা। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে চিৎপুর থানার পুলিশ।
কলকাতার বুকে ভয়াবহ ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ১৯ মার্চ ১১ বছরের ওই নাবালিকা ছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালায় অভিযুক্ত সন্দীপ সাউ। ওই দিন বিকেল ৩টে নাগাদ সাঁতার শিক্ষক সন্দীপ ছাত্রীর কাশীপুরের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে ছাত্রীকে হুমকি দেয় বাড়িতে লকারে থাকা তার মায়ের গয়না এনে দিতে। হুমকিতে ভয় পেয়ে সেই গয়না এনে দেয় ওই নাবালিকা। তার পরেও নাবালিকাকে ছেড়ে দেয়নি ওই অভিযুক্ত। পুলিশ জানিয়েছে, চুরির প্রমাণ লোপাট করতে ছাত্রীকেও মেরে ফেলার ছক কষে সন্দীপ। গয়না হাতে পেয়েই, গামছা দিয়ে ১১ বছরের নাবালিকার গলা পেঁচিয়ে ধরে সে। তখনই ওই নাবালিকা বাধা দেয়। এর পরে রান্নাঘর থেকে ছুরি নিয়ে নাবালিকার গলায় কোপ মেরে পালিয়ে যায় সন্দীপ। পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকা মারা গিয়েছে বলে মনে করেছিল অভিযুক্ত সন্দীপ।
ঘটনার কিছুক্ষণ পরে বাড়ি ফেরেন ওই নাবালিকার মা। তিনিই তখন রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখেন। সেই সময়েই গুরুতর জখম নাবালিকাকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই অস্ত্রোপচারের পরে আপাতত স্থিতিশীল সে। পুলিশ সন্দীপ সাউকে গ্রেপ্তার করেছে, অভিযুক্ত জেরায় নিজের দোষ স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।