সাহায্য নেওয়া হল ২৫০টি সিসিটিভি ফুটেজের, অবশেষে মিলল খোঁজ
আজকাল | ২০ মার্চ ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রায় ২৫০ টিরও বেশী ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ছবি দেখে এক দুষ্কৃতীকারীকে চিহ্নিত করল বাগুইআটি থানার পুলিশ। বাগুইহাটি চাউলপট্টি কালী মন্দিরে চুরির ঘটনায় ২২ দিনের মাথায় কিনারা হল। চাকদহ থানা এলাকার রবীন্দ্রনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হল রাজেশ দে নামে এক ব্যক্তিকে। বুধবার তাঁকে বারাসাত আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার করতে চান তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এর আগে এই মন্দিরে ২০১৪ সালে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেই চুরির ঘটনাতেও রাজেশ দে জড়িত ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে পুলিশ। রাজেশ ঘুরে ঘুরে কাপড় বিক্রি করার আড়ালে বিভিন্ন জায়গায় চুরির উদ্দেশ্যে রেইকি করত। পরবর্তী সময়ে চুরি করে চম্পট দিত বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ শে ফেব্রুয়ারি ভোররাত্রে রাজারহাট-গোপালপুর পৌরসভার অন্তর্গত বাগুইআটি চাউল পট্টির কালীমন্দিরে সোনার গয়না এবং টাকা চুরি হয়েছিল। ভোরবেলা দোকানদারেরা দোকান খুলতে এসে দেখেন মন্দিরের তালা ভাঙা। মন্দির কমিটির বক্তব্য অনুযায়ী বেশ কয়েক ভরি সোনার গয়না এবং পুজোর বাসন নিয়ে চোরেরা চম্পট দিয়েছিল। বাগুইআটি থানার পুলিশ এই ঘটনায় একজনকে আটক করে।
ঘটনার তদন্তে ২৫০টির বেশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। ফুটেজে দেখা যায় গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি রাত প্রায় দুটো নাগাদ কালীমন্দিরে প্রবেশ করে রাত তিনটের একটু পরে দুষ্কৃতীকে ব্যাগ হাতে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। অন্য একটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায় কৃষ্ণনগর লোকালে উঠছে দুষ্কৃতী। এরপর প্রত্যেকটি স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। শেষপর্যন্ত চাকদহ থানা এবং বাগুইআটি থানা যৌথ অভিযানে রবীন্দ্রনগর থেকে গ্রেপ্তার করে রাজেশকে। এই ঘটনায় চোরের সন্ধান দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা ছাড়াও তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করে পুলিশ।