দীর্ঘদিন ধরে ঘুরেছেন।অবশেষে পেলেন মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেট। তরুণী চিকিৎসককে আরজি করে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। তার প্রায় সাত মাস পরে। আরজিকরের মৃত চিকিৎসকের পরিবারের কাছে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে গেলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্য়ায়। একেবারে বাড়িতে এসে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে গেলেন তাঁরা।
নির্যাতিতার বাবা বলেন, আমার মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেটের একটা অরিজিনাল কপি দিয়ে গেলেন। বললেন যদি অন্য় কোনও কপি দরকার হলে এমএসভিপি দিয়ে দেবেন। আমাদের কাছে লিঙ্কও এসে গিয়েছে। দরকার হলে প্রিন্ট আউট করে নেব। আজকেই সাড়ে তিনটে নাগাদ এসেছে। সেপ্টেম্বর মাসে ফোনে চেষ্টা করছিলাম। ৩১শে জানুয়ারি লিখিত দিয়েছিলাম। এরপর থেকে খালি একবার স্বাস্থ্য়ভবন, বোরো অফিস। আমি এমএসভিপিকে বলি। অত কষ্ট করে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বলেছিলাম। বলেছিলাম বেশি কায়দা করে আমাদের সার্টিফিকেট দিতে হবে না। এরপর ঘণ্টা খানেক বাদে আমাদের কাছে মেসেজ আসে। স্বাস্থ্য সচিব নিজেই এসে দিলেন। পেয়েছি সকলকে ধন্য়বাদ। বাবা হয়ে মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য় বার বার ঘোরাটা কতটা কষ্টের যে ঘোরে সে বুঝতে পারছিল।
যেটা চেয়েছি সেটাই আছে। কেন দেরি হল সেটা নিয়ে কোনও সদুত্তর নেই।
স্বাস্থ্য সচিব সংবাদমাধ্যমে বলেন, ওদের একটা ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা ছিল সেটা দিয়ে দিলাম।আজই হ্য়ান্ডওভার করলাম। আর কোনও কথা হয়নি।
২০২৪ সালের ৯ অগস্ট। আরজিকরে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল তরুণী চিকিৎসককে। এরপর ওঠে প্রতিবাদের ঝড়। দিনের পর দিন ধরে হয়েছে প্রতিবাদের মিছিল। কিন্তু তারপরেও ডেথ সার্টিফিকেট পাচ্ছিলেন না নির্যাতিতার পরিবার। তবে কেন এত দেরি হল তা নিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের কাছেও কোনও তথ্য় নেই। স্বাস্থ্য দফতরও এনিয়ে খোলসা করে কিছু বলেনি।
সাত মাস পরে সেই সার্টিফিকেট পেলেন তাঁরা। তবে এখনও ন্য়ায় বিচারের জন্য় লড়াই অব্যাহত রেখেছে পরিবার। প্রসঙ্গত আরজিকরের ওই ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এখনও বিচারের আশায় দিন গুনছে পরিবার। প্রতিবাদের আগুন বুকে নিয়ে দিন গুনছে বাংলা তথা দেশের বহু পরিবারও। শিউরে ওঠার মতো এই ঘটনা।