‘একজন পড়ুয়া থাকলেও বন্ধ হবে না স্কুল, পড়ানোর দায়িত্ব সরকারের’, বললেন ব্রাত্য
হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ মার্চ ২০২৫
ছাত্র সংখ্যা তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় সম্প্রতি বাঁকুড়ার বেশ কয়টি এমএসকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে সম্প্রতি খবর সামনে এসেছিল। তবে রাজ্য বিধানসভায় স্কুল বন্ধ নিয়ে বড় দাবি করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার বিধানসভায় তিনি জানিয়েছেন, কোনও স্কুলে একজন পড়ুয়া থাকলেও সেটি বন্ধ করা হবে না। সেই স্কুল চালু থাকবে। এর পাশাপাশি মিড ডে মিলে তিথি ভোজন নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রস্তাব নিয়েও সমালোচনা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
এদিন বিধানসভায় শিক্ষা বাজেটে জবাবী ভাষণে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলেছেন যে কোনও স্কুলে একজন পড়ুয়া থাকলেও তাকে পড়ানো রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। তাই কোনও ছাত্র ছাত্রী যদি বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়তে চায় তাহলে সেই স্কুল বন্ধ করা যাবে না। প্রসঙ্গত, রাজ্যে প্রাথমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অনেক স্কুল রয়েছে যেখানে পড়ুয়াদের সংখ্যা কম। অথচ শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা সেই তুলনায় বেশি। ইতিমধ্যেই এই সমস্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অন্যত্র প্রশাসনিক বদলি করেছে শিক্ষা দফতর। যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা চলছে।
স্কুল সংযুক্তিকরণের বিষয়ে ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। মঙ্গলবারের শিক্ষা বাজেটে আইএসএফ নওশাক সিদ্দিকী বলেন, রাজ্যে একজন পড়ুয়া রয়েছে এমন স্কুলের সংখ্যা প্রায় ৩০০০-এর বেশি। আবার উল্টোদিকে, একজন শিক্ষক শিক্ষিকা আছে এমন স্কুলের সংখ্যা ৬০০০- এর বেশি। তিনি জানতে চান, পার্শ্ব শিক্ষকদের স্থায়ী শিক্ষকদের সমান বেতন দেওয়া হবে কি না? এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের সমকাজে সমবেদনের নির্দেশের কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবিতে আন্দোলন চলে আসছেন পার্শ্ব শিক্ষকরা। তবে ব্রাত্য বসু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। সমকাজে সমবেতনের বিষয়টি পার্শ্ব শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ শিক্ষক এবং পার্শ্ব শিক্ষকদের পোস্টই আলাদা। এ প্রসঙ্গে তাঁদের জন্য রাজু সরকারের একাধিক পদক্ষেপের কথা জানান ব্রাত্য।
তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করেছেন। মন্ত্রী জানান, ৩ শতাংশ হারে পার্শ্ব শিক্ষকদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া তাঁদের জন্য ইপিএফ চালু করা হয়েছে। তাছাড়া, অবসরকালীন টাকা তিন লাখ টাকা বাড়িয়ে ৫ লাখ করা হয়েছে। পার্শ্ব শিক্ষকদের ক্যাজুয়াল লিভ এবং মেডিক্যাল লিভ ও মাতৃত্বকালীন ছুটিও দেওয়া হয় বলে জানান ব্রাত্য বসু। এরপরে তিনি মিড ডে মিল নিয়ে তিথি ভোজনের কেন্দ্রীয় প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন। তিনি জানান, তিথি-নক্ষত্র দেখে পড়ুয়াদের খাবার দেওয়ার বিষয়ে একমত নয় রাজ্য সরকার। বাংলা সেটা মানবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মিড মিলে মরশুমি ফল, মাছ মাংস এবং ডিম দেওয়া হয়।