এই সময়, নয়াদিল্লি: প্রতি বছর কলকাতার মেট্রো স্টেশনে আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু এই তথ্য জানালেও আত্মহত্যা ঠেকানোর যথাযথ পন্থার দিশা দিতে পারলেন না রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী লোকসভায় দাবি করেছেন, ২০২০ থেকে ধরলে এখনও পর্যন্ত কলকাতা মেট্রোয় মোট ১৯ জন আত্মহত্যা করেছেন।
বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সব থেকে বেশি, সাত জন আত্মহত্যা করেছেন গত বছর অর্থাত্ ২০২৪ সালে৷ মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২০ সালে ১, ২০২২-এ ৫, ২০২৩-এ ৪ এবং চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতা মেট্রোতে ২ জন আত্মহত্যা করেছেন।
ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলা এই আত্মহত্যা ঠেকাতে কী পদক্ষেপ করছে মোদী সরকার— রেল মন্ত্রকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন মালা রায়। পাশাপাশি কলকাতা মেট্রোর সব স্টেশনে স্লাইডিং দরজা বসানোর কোনও পরিকল্পনা রেল মন্ত্রকের আছে কি না, জানতে চান তিনি। তৃণমূল সাংসদের এই দু’টি প্রশ্নের উত্তরে রেল মন্ত্রীর দাবি, সল্টলেকের সেক্টর ৫ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত বিস্তৃত রুটের ১২টি স্টেশনের সব ক’টিতেই বসানো হয়েছে স্লাইডিং দরজা।
দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত রুটের সব স্টেশনে স্লাইডিং দরজার বিকল্প গার্ডরেল বসানোর জন্য শুরু করা হচ্ছে পাইলট প্রকল্প। এই লক্ষ্যে কালীঘাট স্টেশনে পাইলট প্রকল্প শুরুর কথাও বলেন তিনি।
রেলমন্ত্রীর এই দাবির পরে প্রশ্ন উঠেছে, আত্মহত্যা ঠেকানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকরী স্লাইডিং দরজা না-বসিয়ে কলকাতা মেট্রোর সব স্টেশনে গার্ডরেল বসানো হলে আত্মহত্যার প্রবণতাকে কী ভাবে আটকানো যাবে— এই প্রশ্ন তুলে ধরেই মোদী সরকারের রেল মন্ত্রককে কাঠগড়ায় তুলেছেন দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সাংসদ।
তাঁর অভিযোগ, ‘কলকাতা মেট্রোয় আত্মহত্যার সংখ্যা না-কমাতে পারা রেল মন্ত্রকের ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতা ঢাকতেই এখন গার্ডরেল বসানোর কথা বলা হচ্ছে। মেট্রো স্টেশনে স্লাইডিং দরজার পরিবর্তে গার্ডরেল বসিয়ে আত্মহত্যা যে বন্ধ করা যাবে না, সেটা সবাই জানে। তারপরেও শুধুমাত্র আইওয়াশের জন্যই গার্ডরেলের পাইলট প্রকল্প শুরুর কথা বলা হচ্ছে। এটা নির্লজ্জ রাজনীতি!’