এই সময়: চেনা আড্ডায় অন্য আলোচনা। তা-ও আবার যেমন তেমন বিষয় নয়, একেবারে মহাকাশ। আর মহাকাশ মানে, সুনীতা, সুনীতা এবং সুনীতাই। মেদিনীপুর শহরের একটি চায়ের দোকানের আড্ডায় একজন তো বলেই বসলেন, ‘বাব্বা! এমন করে নামটা বলছিস যেন তোর কতদিনের চেনা!’ চায়ের কাপটা বেঞ্চের উপরে ঠক করে রাখার পরে জবাব এল, ‘তা নয়তো কী! পাক্কা ন'মাস মহাকাশে আটকে থাকল মেয়েটা। এ কী চাট্টিখানি কথা রে ভাই!’
মেদিনীপুরে যখন আড্ডা জমে উঠেছে, তখন কোলাঘাট শহরে ‘ঝন্টুদা’র চায়ের দোকানে এক এক করে হাজির হয়েছেন কিংশুক হাইত, পিন্টু দোলই, সন্তু হাজরা, বিদ্যুৎ মণ্ডলরা। তাঁদের বিষয় আবার মহাকাশে লেটুস চাষ।
কথাটা প্রথমে তুললেন কিংশুক, ‘এর আগে নাসা একবার মহাকাশে জিনিয়া ফুটিয়েছিল। এ বার তো সুনীতারা তো লেটুসেরও চাষ করে ফেললেন। কেমন খেতে হবে, কে জানে!’ এ বার সেই আড্ডায় এন্ট্রি নিলেন অসীম দাস।
চায়ের অর্ডার করে একদৃষ্টে কিছুক্ষণ চেয়ে থাকলেন কিংশুকের দিকে। তারপরে সহাস্যে বললেন, ‘অ্যাই কিংশুক, সব সময়ে খাই খাই করিস কেন। ও লেটুস খাওয়ার জন্য নয়, গবেষণার কাজে লাগবে রে।’
মেদিনীপুরের গেটবাজারে ‘মনাদা’র চায়ের দোকানেও এ দিন রাজনীতির আলোচনা ছিল একেবারেই ব্রাত্য। চিকিৎসক তুহিন মাইতি বলে চলেছেন, ‘শুনুন, শুধু মানুষই নয়, সুনীতাদের ড্রাগন ক্যাপসুল সমুদ্রে নামার পরে ডলফিনগুলোও কী ভাবে স্বাগত জানাল দেখলেন? যেন ওরাও সুনীতাদের ফেরার অপেক্ষায় ছিল!’ দোকানের থিকথিকে ভিড়টা তখন হাঁ করে শুনছে তুহিনের কথা।