• বাস্তবে মৃত অথচ ভোটার তালিকায় জীবিত! জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে ১২০০ ‘ভূত’
    প্রতিদিন | ২০ মার্চ ২০২৫
  • শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: বাস্তবে মৃত অথচ ভোটার তালিকায় জীবিত! জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর অঞ্চলের ভোটার তালিকায় দিব্যি বেঁচে রয়েছেন ১ হাজার ২০৯ জন ভোটার। দলের নির্দেশে ‘ভূতুড়ে’ খুঁজতে বেরিয়ে যা দেখে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ এলাকার তৃণমূল কর্মীদের। শুধু মৃত ভোটারই নন। কুড়ি-পঁচিশ বছর আগে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন এমন ভোটারেরও নাম রয়েছে তালিকায়। এমনকি দুই রাজ্যের তালিকায় নাম রয়েছে এমন ভোটারের হদিশ মিলেছে পাহাড়পুর অঞ্চলে।

    মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর নির্দেশ পেয়ে অঞ্চল এবং বুথ ধরে ধরে ভোটার তালিকা ক্রুটিনি করছেন তৃণমূল কর্মীরা। পাহাড়পুর অঞ্চলে ২৯ হাজার ৭০১ জন ভোটার রয়েছেন। মার্চ মাসের শুরুতেই রাজগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় ১৫০ জন ভুতুড়ে ভোটারকে চিহ্নিত করে তালিকা জেলা নেতৃত্বকে পাঠান রাজগঞ্জ ব্লক তৃণমূল কর্মীরা। এবার স্ক্রুটিনি শেষে এই নাম তালিকা জেলা নেতৃত্বের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে বলে তৃণমূলের পাহাড়পুর অঞ্চল সভাপতি মকবুল হোসেন জানিয়েছেন।

    পাহাড়পুর অঞ্চলের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে আবার অসমেও নাম রয়েছে এমন ভোটারেরও হদিশ মিলছে পর্যায়। মকবুল জানান, পাহাড়পুর অঞ্চলের ভগত সিং কলোনির ২২১ নম্বর বুথে চারজন এমন রয়েছেন, যারা কুড়ি-পঁচিশ বছর আগে অসমে চলে গিয়েছেন। কিন্তু এখনও তাঁদের নাম রয়েছে ভোটার তালিকায়। আবার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ২০৫ নম্বর বুথে ১৫৩ জন এবং একই ওয়ার্ডের ২০৭ নম্বর বুথে ১২৪ জন মৃত ভোটারের হদিশ পেয়েছেন।

    ১ হাজার ২০৯ জন মৃত হলেও ভোটার তালিকায় কি করে নাম রয়ে গেল, এই নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। এক্ষেত্রে বিএলও বা বুথ লেভেল অফিসারদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। মকবুল জানান, তাঁদের অনুমান সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। এই ‘ভূতুড়ে ভোটার’দের যাতে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় তার জন্য জেলা নেতৃত্বের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের দ্বারস্থ হবেন।তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সভানেত্রী মহুয়া গোপ জানান,দলের নির্দেশে কর্মীরা বুথে বুথে তথ্য সংগ্রহ করছেন। একাধিক ভূতুড়ে নাম তালিকা সামনে আসছে। এদের যাতে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় তার জন্য দলের নির্দেশ মতো পদক্ষেপ করা হবে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)