• মমতা বিদেশে থাকাকালীন রাজ্য সামলাবে টাস্ক ফোর্স, গড়ে দিলেন মমতাই
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ মার্চ ২০২৫
  • লন্ডন সফরের জন্য এক সপ্তাহ বাংলা তথা দেশের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে। তাঁর অনুপস্থিতিতে যাতে সরকার ও প্রশাসনের কাজে কোনও সমস্যা বা প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গড়ে দিলেন তিনি - অর্থাৎ - মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    এই বিশেষ টাস্ক ফোর্সে একত্রে থাকছেন রাজ্যের পাঁচজন মন্ত্রী, পুলিশের দুই বড় কর্তা এবং রাজ্য সরকারের শীর্ষস্থানীয় আমলারা! আজ নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানেই এই টাস্ক ফোর্সের বিষয়টি জানান তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি লন্ডন সফরে থাকাকালীন রাজ্যে 'কোনও ঘটনা ঘটলে বা কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার হলে এই টাস্ক ফোর্স কো-অর্ডিনেট করবে। আমরা ২২ তারিখ যাচ্ছি। ২৪ তারিখ ওখানে ভারতীয় হাইকমিশনে অনুষ্ঠান, ২৫ তারিখ বাণিজ্য সম্মেলন, ২৬ তারিখ শিল্প নিয়ে সরকারি স্তরে বৈঠক, ২৭ তারিখ অক্সফোর্ডে ভাষণ দেওয়া, ২৮ তারিখ লন্ডন থেকে রওনা দিয়ে দেশে ফিরব। খুব সংক্ষিপ্ত সফর। ব্রিটেন তো আমাদের সঙ্গী, ওদের সঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত যোগ আছে। তাই আমন্ত্রণ পেয়ে যাচ্ছি। এটা সরকারের ব্যাপার।'

    মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করে দেওয়া সংশ্লিষ্ট টাস্ক ফোর্সে যে পাঁচজন মন্ত্রী রয়েছেন, তাঁরা হলেন - চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিম। এছাড়াও আমলাদের মধ্যে টাস্ক ফোর্সের সদস্য হয়েছেন - ভূমি দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বিবেক কুমার, অর্থসচিব প্রভাত মিশ্র, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। টাস্ক ফোর্সে পুলিশের দুই বড় কর্তাকেও রেখেছেন মমতা। এঁরা হলেন - রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা।

    মুখ্যমন্ত্রী এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, তাঁর সাময়িক অনুপস্থিতিতে এই টাস্ক ফোর্স নিয়মিত বৈঠক করবে। জেলাস্তরে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে চলবে তারা। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী, অথবা তাঁর সঙ্গে সফররত মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা।

    এদিকে, এদিনই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী লন্ডনে থাকাকালীন সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হতে পারে, বিশৃঙ্খলা ছড়ানো হতে পারে। কুণালের দাবি, বিদেশের মাটিতে বাংলাকে অপমান করার ষড়যন্ত্র চলছে এবং এর জন্য কিছু বাম, অতি বাম ও বিজেপি মনস্ক লোকজন হাত মিলিয়েছে।

    এই একই অভিযোগ এদিন মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও শোনা গিয়েছে। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, 'বাংলায় গণশত্রু আছে। হোয়াটসঅ্যাপে খারাপ কথা লেখা হচ্ছে। ইমেল পাঠানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আমরা খারাপ। আমরা কিন্তু সেই ইমেলগুলো পেয়েছি। বাংলাকে অপমান করা হচ্ছে। আমাকে অপমান করুন, বাংলাকে অপমান করবেন না। আমাদের কোনও নেতা বিদেশে গিয়ে দেশের বদনাম করে না।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)