OBC শংসাপত্র যাচাই করতে চায় রাজ্য, বিরোধিতা করে নয়া মামলা হাইকোর্টে
হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ মার্চ ২০২৫
রাজ্যের কোন কোন বাসিন্দা 'অন্য়ান্য অনগ্রসর শ্রেণি' বা ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য, তার জন্য আদৌ কি নতুন করে সমীক্ষার কাজ করতে পারবে রাজ্য সরকার? এই প্রশ্ন উঠছেই। কারণ, ওবিসি শংসাপত্র যাচাইয়ের প্রক্রিয়া সারতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে রাজ্য সরকার তিনমাস সময় চেয়ে নিলেও এবার রাজ্যের সেই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে মামলা রুজু হতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টে। সংবাদমাধ্যমের হাতে আসা তথ্য অনুসারে, আদালতও সেই মামলা রুজু করার অনুমতি দিয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট মামলাটি করছেন বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী। তিনি রাজ্য সরকারের অবস্থান ও সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। মামলাটির যাতে দ্রুত শুনানি করা হয়, সেই আবেদনও করেছেন ওই আইনজীবী।
তাঁর এই আবেদনের ভিত্তিতে, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা রুজু করার অনুমতি দিয়েছে। তবে, মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন আপাতত বিবেচনাধীন রাখা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ওবিসি শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা অনেক অনিয়ম করেছে। এই মর্মে মামলা রুজু করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার রায় ঘোষণা করা হয় গত বছরের ২২ মে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ২০১০ সালের পর রাজ্যে যত ওবিসি শংসাপত্র ইস্যু করা হয়েছে। সব বাতিল হয়ে যাবে। এর ফলে রাজ্যে প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র এক ধাক্কায় বাতিল হয়ে যায়।
কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। গত মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবল আদালতকে জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই নতুন করে সমীক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে। কারা ওবিসি সার্টিফিকেট পাওয়ার যোগ্য, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে ওবিসি মামলার শুনানি তিনমাস পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান সিবল। শীর্ষ আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্য়ায় রাজ্যের এই নতুন সমীক্ষা করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। তাঁর বক্তব্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে, ২০১০ সালের পর ইস্যু হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট উচ্চ আদালত বাতিল করেছে। শীর্ষ আদালত সেই নির্দেশের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। তাই, রাজ্যের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পালটা মামলা রুজু করার সিদ্ধান্ত নেন ওই আইনজীবী।