বারুইপুরে শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি ঘিরে তৃণমূলের বিক্ষোভের আঁচ পড়়ল বিধানসভাতেও। এদিন স্পিকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষের নেতৃত্বে বিধানসভার ওয়েলে নেমে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। এর পর ওয়াক আউট করে বিধানসভার বাইরে স্পিকারের কুশপুতুল পোড়ান তাঁরা।
বুধবার বাইপুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন বিধানসভায় উত্তেজনা ছিল চরমে। অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে শংকর ঘোষ বুধবার বারুইপুরের ঘটনায় সরকারের বিবৃতি দাবি করেন। কী ভাবে বিজেপির কর্মসূচির ১০০ মিটারের মধ্যে পুলিশ তৃণমূলকে কর্মসূচির অনুমতি দিল প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর পরই ওয়েলে নেমে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। স্পিকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন শংকর ঘোষসহ অন্যরা। এর পর বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করে বিজেপি বিধায়করা। বাইরে বেরিয়েও জারি ছিল বিক্ষোভ। বিধানসভার ২ নম্বর গেটের সামনে স্পিকারের কুশপুতুল দাহ করেন তাঁরা।
শংকরবাবু বলেন, গতকালের ঘটনার পর স্পিকার মনে হয় বুঝতে পেরেছেন তাঁর বিরুদ্ধে আনা আমাদের অভিযোগগুলো সত্যি। তাই যে স্পিকার কাগজ ছেঁড়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করেছেন, আমাকে, অগ্নিমিত্রা পালকে নানা ছুতোয় সাসপেন্ড করেছেন, আজ আমরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখালেও তিনি কোনও পদক্ষেপ করেননি। তিনি বুঝতে পেরেছেন, রোহিঙ্গাদের দিয়ে আর পুলিশের সাহায্যে তৃণমূলের সাম্রাজ্য চলছে।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যয়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে বুধবার তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র বারুইপুর পশ্চিমে মিছিল ও সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। সভায় হাজির থাকার কথা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ সমস্ত বিজেপি বিধায়কদের। বুধবার সকালে জানা যায়, বিজেপির সভাস্থল থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে তৃণমূলকে সভা করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। সেই সভা থেকে বিজেপি নেতা, কর্মী ও বিধায়কদের লাগাতার কালো পতাকা দেখিয়ে প্ররোচনামূলক স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। শুভেন্দু অধিকারী সেখানে পৌঁছলে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছয়। শুভেন্দুবাবুর দাবি, তাঁর গাড়িতে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এমনকী খুনের চেষ্টারও অভিযোগ করেছেন তিনি।