আগেই জামিন পেয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। এ বার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সিবিআইয়ের মামলায় জামিন পেলেন হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে তিনি প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে ইডির মামলাতে জামিন পেয়েছিলেন। ফলে এই জামিনের পরে তাঁর জেল মুক্তিতে কোনও বাধা রইল না।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২৩ সালে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় সিবিআইও। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তনুর নাম প্রথমে সামনে এনেছিলেন এই মামলায় আরেক অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল। এর পর ম্যারাথন জেরার পর শান্তনুকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে মোবাইলের সিম কার্ডের ব্যবসা দিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। তাঁর বাবা ছিলেন বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী। বাবার মৃত্যুর পর সেই চাকরি পেয়েছিলেন শান্তনু। এলাকায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ছিল তাঁর। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ।
ইতিমধ্যেই শান্তনুর কণ্ঠস্বরের নমুনাও সংগ্রহ করেছিল সিবিআই। আগেও সিবিআই মামলায় জামিনের আবেদন করেছিলেন শান্তনু। পাল্টা কেন্দ্রীয় সংস্থার যুক্তি ছিল, শান্তনুর রাজনৈতিক মহলে যোগাযোগ রয়েছে এবং তিনি প্রভাবশালী। তিনি জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। যদিও শান্তনুর আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেলকে এখন আর প্রভাবশালী বলা যায় না।
অবশেষে বৃহস্পতিবার একাধিক শর্তসাপেক্ষে জামিন পান শান্তনু। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল। গত ৭ মার্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় জামিন পান হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলও। তবে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনি এখনও জামিন না পাওয়ায় জেলেই রয়েছেন।