• ৫ মাসের শিশুকন্যার গলায় ব্লেড চালিয়েছিল বাবা, ১১ বছর পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত
    এই সময় | ২০ মার্চ ২০২৫
  • পাঁচ মাসের কন্যা সন্তানের গলায় ব্লেড চালিয়ে খুন করেছিল বাবা। ১১ বছর পর সেই মামলায় শাস্তি পেল দোষী। বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল চন্দননগর মহকুমা আদালত।

    ঘটনাটি ঘটে ২০১৩ সালে ১০ নভেম্বর হুগলির হরিপালের সহদেব পঞ্চায়েতের গসা গ্রামে। মেয়ের পিতৃত্ব নিয়ে সংশয় ছিল দোষী শেখ কামাল হোসেন। শিশুর মা রেজিনা বেগমের অভিযোগ ছিল, তাঁর স্বামী শেখ কামাল ভোর চারটে নাগাদ তাঁর থেকে শিশু কন্যাকে কেড়ে নিয়ে পালাতে চেষ্টা করে। তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি বাধা দিলে সেখান থেকে বেরিয়ে যায় কামাল। পরে শিশুটির গলায় ব্লেড চালিয়ে তাকে খুন করে। হরিপালেরই কৌশিক নদীর বাঁধের উপর শিশুটির গলাকাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় শেখ কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    চন্দননগর মহকুমা আদালতে প্রায় ১১ বছর ধরে খুনের মামলা চলার পর বৃহস্পতিবার চন্দননগর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক জগৎজ্যোতি ভট্টাচার্য দোষীকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেন।

    সরকারি আইনজীবী অন্নপূর্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘হরিপাল থানা এলাকায় বাবা কামাল তার পাঁচ মাসের কন্যার গলায় ব্লেড চালিয়ে খুন করেছিল। মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু হয়। আজ আদালত ওই দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত আরও এক বছর জেলে থাকতে হবে দোষীকে।’

    দোষী নিজেকে বাঁচানোর জন্য বারবার দাবি করেন তিনি সুস্থ নন। কিন্তু তা ভুল প্রমাণিত হয় মেডিক্যাল পরীক্ষায়। লিগাল এডের আইনজীবী শশীরাজ সিংহ অবশ্য বলেন, ‘এই মামলায় কোনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই। মামলাটি ভিত্তিহীন। যদিও আদালতের রায় মেনে নিতে হবে। দোষী হাইকোর্টে সাজা মকুবের আবেদন করবে।’

  • Link to this news (এই সময়)