নিজের দপ্তরে চেয়ারে বসে রয়েছেন বর্ধমানের মানকর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ডালিয়া লাহা। টেবিলের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে ঠিকাদার সংস্থার কর্মী। কথা হচ্ছে নির্দিষ্ট একটি প্রকল্পের কাজের জন্য কত টাকা (কাটমানি) দিতে হবে তা নিয়ে। কথোপকথনের একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় অনলাইন) ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই পঞ্চায়েত প্রধান।
বর্ধমানের গলসি-১ ব্লকের বুদবুদ থানা এলাকার মানকর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনার ভিডিয়ো সমাজ মাধ্যমে তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পঞ্চায়েত এলাকায় সাব-মার্সিবল পাম্প বসানোর জন্য ১০ শতাংশ কাটমানি চাওয়া হচ্ছে। ঠিকাদার সংস্থার ওই কর্মী ২ শতাংশ টাকা নেওয়ার জন্য দরাদরি করছেন। এমনকী, টেবিলের উপর টাকা রাখতেও দেখা গিয়েছে ওই কর্মীকে। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় বিতর্ক।
শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডলে অভিযোগ করেছেন, ‘তৃণমূলের নেতা থেকে কর্মী সবাই কাটমানি নিতে সিদ্ধহস্ত। বিজেপির পক্ষ থেকে আমরা বরাবর তথ্য দিয়ে বলে এসেছি যে সরকারি প্রকল্পে তৃণমূলের নেতা, কর্মীদের কাটমানি না দিলে কোনও কাজ হয় না। এই ভিডিয়োটি আরও একবার আমাদের কথার সত্যতা প্রমাণ করল।’
অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান ডালিয়া লাহা বলেন, ‘যাঁদের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছিল, সেই এজেন্সি না এসে অন্য একজনকে পাঠিয়েছিল। তাঁর হাতে ওয়ার্ক অর্ডার দিতে রাজি না হওয়ায় উনি টাকাটা আমার টেবিলের উপর রাখেন। আমি সেই টাকা ছুঁইনি। আমার এখানে সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। সেখানে পুরো বিষয়টি দেখা যাবে।’ পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, তাঁকে ফাঁসানোর জন্যেই এ ভাবে গোপন ক্যামেরা নিয়ে ফাঁসানোর চক্রান্ত করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে দাবি পঞ্চায়েত প্রধানের।