দলছুট দাঁতাল হাতির তাণ্ডব ঝাড়গ্রামে। হাতির হানায় দুটি গোরুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। দুটি গোরু আহত হয়েছে। ঘটনা ঝাড়গ্রাম থানার লাউড়িয়াদাম গ্রামে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বন দপ্তরের কর্মীরা। আহত গোরুগুলির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে লাউড়িয়াদাম গ্রামে একটি দাঁতাল হাতি হানা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দা হাঁসি ঘোষের গোয়াল ঘরে ঢুকে পড়ে হাতিটি। গোয়াল ঘরে ছিল মোট ১৪টি গোরু। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই ধরনের ঘটনা প্রথম ঘটল লাউড়িয়াদাম এলাকায়। দিনের পর দিন হাতির স্বভাব বদলে যাওয়ায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, অতীতে দেখা গিয়েছে হাতি খাবারের সন্ধানে মানুষের বাড়িতে হানা দিত। ঘরবাড়ির ভাঙার পাশাপাশি হাতির হানায় মানুষের প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কখনও গবাদি পশুর উপর হাতি আক্রমণ করত না। বুধবার রাতের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
গোরুর মালিক হাঁসি ঘোষ বলেন, ‘একটি দলছুট দাঁতাল হাতি হঠাৎ করে গোয়াল ঘরের দেওয়াল ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। গোরুগুলির পেটে হাতিটি দাঁত ঢুকিয়ে দু’টি গোরুকে মেরে ফেলে। একটি বাছুরের পেটে দাঁত ঢুকিয়ে পেটটা ফাটিয়ে দেয়।’
ওই পরিবারকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে বনদপ্তর। দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পশু চিকিৎসক এনে গোরুগুলির চিকিৎসাও করানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার বিধানসভায় দলছুট দাঁতালকে এলাকা ছাড়া করার বিষয়ে বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদাকে প্রশ্ন করেছিলেন বাঁকুড়ার বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়। বিধায়কের প্রশ্নের উত্তরে বনমন্ত্রী জানান, হাতিকে সম্পূর্ণ অন্য এলাকায় পাঠাতে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। কেন্দ্রের কাছে এই বিষয়ে অনুমতি চাওয়া হবে।