রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে রাজ্য তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের আয়োজনে এবং চন্দননগর পুর নিগমের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হল বিশ্ববাংলা জগদ্ধাত্রী সম্মান। বৃহস্পতিবার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে চন্দননগর রবীন্দ্র ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন। ছোট্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কার এবং মিষ্টির হাঁড়ি তুলে দেওয়া হয় চন্দননগর এবং ভদ্রেশ্বর এলাকার বিশ্ব বাংলা সম্মানে ভূষিত ২০টি পুজো বারোয়ারির হাতে। পুরস্কৃত করা হয় চন্দননগর পুরনিগম এলাকার ৯টি বিভাগে শ্রী সম্মানের অধিকারী ৩৯টি জগদ্ধাত্রী বারোয়ারিকে।
তবে অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের গান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী জানান, ‘চন্দননগর ছাড়াও রাজ্য তথা গোটা দেশ এই উৎসবের অপেক্ষায় থাকেন। জগদ্ধাত্রী পুজোকে নিয়ে শুধু চন্দননগর নয় সারা বাংলার মানুষ গর্ববোধ করে। চন্দননগর কেন্দ্রীয় পুজো কমিটি, পুরনিগম, পুলিশ কমিশনারেট এবং প্রশাসনের সমস্ত দপ্তরের সহযোগীতায় সুষ্ঠ ভাবে পুজো সম্পন্ন হয়েছে। পুজোর জন্য একটি নতুন জেটি করা হয়েছিল। সেটাকে রেখে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে গঙ্গায় জেটির সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও একাধিকবার এখানে পুজোতে এসেছেন। আমার কাছেও পুজো বলতে জগদ্ধাত্রী পুজো’।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে দুর্গা পুজোর অষ্টমীর দিন দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে শুরু হয়েছিল বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান। মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের সহায়তায় গোটা রাজ্য জুড়ে এই সম্মান প্রদান করা হয়। তার কয়েক বছর পরেই শুরু হয় বিশ্ব বাংলা জগদ্ধাত্রী সম্মান। আগামী দিনে এই পুজোকে বিশ্বের প্রত্যেক কোণায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সর্বদা প্রস্তুত রাজ্য সরকার, প্রশাসন এবং চন্দননগরের মানুষ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি।