• ডেউচা-পাচামিতে অপপ্রচার রুখতে নয়া উদ্যোগ, কী বার্তা জেলাশাসকের?
    এই সময় | ২১ মার্চ ২০২৫
  • ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ডেউচা-পাচামিতে খনন কার্য শুরু হয়েছে। এর মাঝেই আদিবাসীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখিয়েছে মহম্মদবাজার এলাকায়। জেলা প্রশাসনের দাবি, কয়লা খনি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কয়লাখনি নিয়ে সঠিক তথ্য আদিবাসীদের কাছে তুলে ধরতে এ বার বিশেষ ‘সম্বর্ধনা’ সভার আয়োজন করল জেলা প্রশাসন। 

    জেলা প্রশাসনের তরফে মহম্মদবাজার ব্লক অফিস চত্বরে আদিবাসী গুণীজনদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই আদিবাসীদের কাছে কয়লাখনি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। কোনওরকম খোলা মুখ কয়লাখনি হচ্ছে না বলে আশ্বস্ত করা হয় আদিবাসীদের। পাশাপাশি কয়লা খনি নিয়ে নানা জায়গায় যে অপপ্রচার চলছে, সে বিষয়েও সতর্ক করে জেলা প্রশাসন।

    জেলাশাসক বিধান রায় জানান, প্রথম পর্যায়ে ৩২৬ একর জমিতে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। যার মধ্যে ১০৪ একর সরকারি জমি এবং ২২২ একর ব্যক্তিগত জমি। এই ৩২৬ একরের মধ্যে কোথাও কোনও বনাঞ্চল বা বসতি নেই। স্বাভাবিকভাবেই এখানে কোনওরকম বনাঞ্চল নষ্ট করা হচ্ছে না বা বসতি উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। এই জায়গার খনি খোলা মুখ হবে না। এটা আন্ডারগ্রাউন্ড মাইনিং হবে। তিনি বলেন, ‘যে উন্নয়ন হয়েছে বা হবে সেই বিষয়গুলিও আমরা মাঝি বাবাদের জানালাম। কারণ উন্নয়ন এবং কয়লা খনির বিষয় নিয়ে একটা মিথ্যাচার চলছে। তাই আমরা তাঁদেরকে সহজ সত্যি কথাটা জানালাম।’

    উল্লেখ্য, ডেউচা-পাচামির সব মিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার বর্গ কিমি জায়গার মধ্যে ৩০ শতাংশ এলাকায় প্রাথমিক খনিমুখ খুলে খননকার্য শুরু হবে। বাকি ৭০ শতাংশ এলাকায় ভূগর্ভস্থ খনন এবং গ্যাসিফিকেশনের মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়া চালানো হবে। প্রাথমিকভাবে মাটির নিচ থেকে ব্যাসল্ট তোলার কাজ শুরু করা হয়েছে।  স্থানীয় লোকজন এই কাজে নিযুক্ত করার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। 

  • Link to this news (এই সময়)