• ‘দেশকে পথ দেখাচ্ছেন অভিষেক' সেবাশ্রয়ে ৭৫দিনে ১২,৩৫,৭৭৩, টক্কর কার সঙ্গে?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ মার্চ ২০২৫
  • অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সেবাশ্রয় প্রকল্প। ৭৫দিনে পা দিয়েছে এই প্রকল্প। একেবারে উপচে ওঠা ভিড়। থিক থিক করছে রোগী। ডায়মন্ডহারবার মডেল। তবে এই মডেল দেখে প্রশ্ন অনেকেরই তবে এত রোগী তারা সরকারি হাসপাতালে কেন যাচ্ছেন না? তবে কি সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো এতটাই দুর্বল যে হাজার হাজার মানুষ এভাবে সেবাশ্রয় প্রকল্পে আসছেন?

    অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস তাদের এক্স হ্যান্ডেলে একেবারে ফলাও করে সেবাশ্রয় প্রকল্পের সাফল্যের কথা তুলে ধরেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে জনপরিষেবার ক্ষেত্রে বিপ্লব। ৭৫ দিনে, ৭টি বিধানসভায় ১২ লাখের বেশি মানুষের জীবনে প্রভাব পড়েছে।

    লেখা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় দেশকে পথ দেখাচ্ছেন যেখানে গভর্ন্যান্স কীভাবে মানবিকতার শিকড়ে থাকে। ডায়মন্ডহারবার হল সেবা, দক্ষতা, মানুষকে ভালো রাখার কথা রাখার মডেল।

    ৭৫ দিনে সেবাশ্রয় একটি প্রতিশ্রুতি, ডায়মন্ডহারবারের মানুষের জন্য় একটা লাইফলাইন।আর একবার জানিয়ে দেওয়া সত্যিকারের পাবলিক সার্ভিস কাকে বলে, এটা মাইলস্টোনের থেকেও বড়। তৈরি হচ্ছে ইতিহাস।

    সেই পোস্টে জানানো হয়েছে ৭৫ দিন ধরে সব মিলিয়ে ১২,৩৫ হাজার ৭৭৩জনের পা পড়েছে এই সেবাশ্রয়ের ক্য়াম্পে।১১,৭১,৫৮১জন রোগী পরামর্শ পেয়েছেন। ৮,৯৩,১৬২জন রোগীর পরীক্ষা করা হয়েছে। ১১,২২,০০১ মোট ওষুধ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে রেফার করা হয়েছে ৬,৪৭৬জন। সব মিলিয়ে নিয়মিত ক্যাম্প ২৯১টি। সব মিলিয়ে মেগাক্যাম্প ২৭০টি।

    এর আগে ফেসবুকে অভিষেক লিখেছিলেন, 'আমি আশাবাদী আজকের এই ডায়মন্ড হারবার মডেল আগামী দিন দেশকে পথ দেখাবে। সকলের জীবনে আলোর দিশারি হয়ে কাজ করবে। আমৃত্যু আমি এইভাবেই গণদেবতার সেবায় নিযুক্ত থাকব। এই আমার প্রতিজ্ঞা।'

    গত জানুয়ারি মাসে অভিষেক বলেছিলেন, সেবাশ্রয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিতে চান। তবে তা কখনওই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে তুলনা করা ঠিক নয়। তিনি জানিয়েছেন, গত ১৩ বছরে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিতে অনেক কাজ করেছে। তৈরি হয়েছে অনেকগুলো সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। আছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। যার মাধ্যমে মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পান। সেই সঙ্গেই কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আয়ুষ্মান প্রকল্পে সুবিধা পেতে হলে কয়েকটি শর্ত রয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিঃশর্তে মেলে।

    অভিষেক বলেছিলেন সেই সময়, রাজ্য সরকার তার মতো যথেষ্ট করেছে। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করেছি।

    সেই সঙ্গে সেবাশ্রয় ক্যাম্পের নানা দিক তিনি তুলে ধরেছিলে তিনি। অভিষেক বলেছিলেন, আমি চেষ্টা করেছি প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতে চারটে করে ক্যাম্প করার। একটা গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৫টা বুথ হলে প্রতি ৬-৭টা বুথ পিছু একটা করে ক্যাম্প করেছি। রাজ্য সরকারের আরও ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, হয়তো একটা গ্রাম পঞ্চায়েতে একটা হাসপাতাল আছে। আমি চেষ্টা করেছি একটা গ্রাম পঞ্চায়েতে চারটে করে ক্যাম্প করার।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)