• সহকর্মীর সঙ্গে ঝগড়ায় চাকরি যায় CISF কনস্টেবলের, ১১ বছর পর পুনর্বহালের নির্দেশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ মার্চ ২০২৫
  • সহকর্মীর সঙ্গে ঝগড়া। তার জেরে প্রায় ১১ বছর আগে চাকরি হারিয়েছিলেন নয়াদিল্লি মেট্রো স্টেশনের একজন সিআইএসএফ কনস্টেবল। দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে মামলা চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে। অবশেষে সেই মামলায় ওই কনস্টেবলকে পুনরায় চাকরিতে বহাল করার নির্দেশ দিল রাজ্যের উচ্চ আদালত। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার ওই কনস্টেবলকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছে।


    মামলার বয়ান অনুযায়ী, ঘটনার সূত্রপাত ২০১৪ সালে। ওই বছরের প্রথম দিকে সহকর্মীর সঙ্গে ঝগড়ার অভিযোগ উঠেছিল ওই কনটেবলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার অভিযোগ পেয়ে কঠোর পদক্ষেপ করেন কর্তৃপক্ষ। ২০১৪ সালের ২৮ মার্চ শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ একটি নির্দেশ জারি করে কনস্টেবলকে চাকরি থেকে অপসারণ করেন। পরে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান তিনি। কিন্তু, ওই বছরের ১৩ মে কনস্টেবলের আর্জি খারিজ করে দিয়ে সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন কর্তৃপক্ষ। সুরাহা না মেলায় তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্ত হন।

    মঙ্গলবার কনস্টেবলকে চাকরিতে পুনর্বহালের পাশাপাশি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘এর জন্য সামান্য শাস্তিই যথেষ্ট ছিল।’ যদিও সিআইএসএফের তরফে আইনজীবী যুক্তি দেন, কর্তব্যরত কনস্টেবলের অনিয়মিত আচরণ করা উচিত হয়নি। তবে ডিভিশন বেঞ্চের মতে, এটা গুরুতর অপরাধ ছিল না। অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে পর্যবেক্ষণে জানায়, ‘একটি গুরুতর অপরাধের মধ্যে দুর্নীতি বা অপব্যবহার অন্তর্ভুক্ত। তবে, ওই কনস্টেবলের সততা নিয়ে কখনও সন্দেহ করা হয়নি। তাছাড়া, কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতি বা গুরুতর অবহেলারও অভিযোগ করা হয়নি।’

    বেঞ্চ বলেছে, শুধু সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই কনস্টেবলের আবেদন খারিজ করেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, তার আগের ও পরের ঘটনাগুলি রেকর্ড করা হয়নি। এছাড়াও, ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে বলেছে, ঘটনায় উত্তেজক এবং প্ররোচনা দেওয়ার কারণগুলি নিয়ে কোনও আলোচনা করা হয়নি। বেঞ্চ জানায়, বর্তমানে আবেদনকারীর বয়স প্রায় ৪৩ বছর। এই গুরুতর শাস্তির ফলে তাঁর জীবিকা নির্বাহের উপর প্রভাব ফেলবে। তারপরেই তাঁকে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)