আগেই ইডির মামলায় জামিন পেয়েছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এবার সিবিআইয়ের মামলাতেও জামিন পেলেন তিনি। প্রায় ২ বছর ধরে তিনি বন্দি রয়েছেন। তবে এবার জামিনে মুক্তি পাবেন তিনি। জামিন সংক্রান্ত আইনি কাগজপত্রে সই করার পরেই মুক্তি পাবেন তিনি। সূত্রের খবর, জেল থেকে মুক্তি পাবেন এই খবর শোনার পরেই কান্নাকাটি শুরু করে দেন শান্তনু। আসলে কার্যত খুশিতে তিনি কেঁদে ফেলেন বলে খবর।
একাধিক শর্তসাপেক্ষে শান্তনুর জামিন মিলেছে বলে খবর। ১ লাখ টাকার সিকিউরিটি বন্ড দিতে হয়েছে। সেই সঙ্গেই তিনি ইচ্ছে হলেই যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারবেন না।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। ২০২৩ সালে হুগলির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল যুব তৃণমূলের তৎকালীন দাপুটে নেতাকে। পরে অবশ্য় দল তাকে বহিষ্কার করে। তবে পরবর্তীতে তার নানা সম্পত্তির হদিশ মেলে।
তবে জেল থেকে মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হলেও একাধিক ক্ষেত্রে একাধিক শর্ত তার উপর আরোপ করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল তিনি কলকাতা হুগলি সহ রাজ্যের চারটি জেলার বাইরে যেতে পারবেন না। যখন তদন্তকারী আধিকারিকরা ডাকবেন তখনই তাদের কাছে যেতে হবে। তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছে তার মোবাইল নম্বর দিয়ে যেতে হবে। আসলে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল অনেকের। এবার জামিন পেলেন শান্তনু।
তবে এবার জেল থেকে বেরিয়ে ফের শান্তনু রাজনীতিতে ফেরেন কি না সেটাই দেখার। গত ২৬শে নভেম্বর ইডির মামলায় জামিন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি জেল থেকে বের হতে পারছিলেন না। অবশেষে তিনি জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন বলে খবর।
তবে দুর্নীতির তালিকায় নাম ওঠার পরেই দল তার সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি করতে শুরু করে। এরপর একসময় তাকে বহিষ্কার করেছিল দল। এদিকে শান্তনুকে বার বারই প্রভাবশালী বলে উল্লেখ করেছিল তৃণমূল। একাধিকবার জামিনের জন্য় আবেদন করেছিলেন শান্তনু। সিবিআইয়ের মামলা থেকে জামিনের জন্য় আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিবারই তাঁর জামিন নাকচ হয়ে গিয়েছিল। সিবিআইয়ের আইনজীবী তাকে প্রভাবশালী বলে উল্লেখ করেছিলেন। তবে এবার জামিন পেলেন তিনি।
সিবিআই দাবি করেছিল টাকা তুলতেন শান্তনু। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার যে চক্রটি কাজ করত তার অন্য়তম মাথা ছিলেন শান্তনু। এমনকী সেই টাকা চলে যেত কালীঘাটের কাকুর কাছে।অভিযোগ উঠেছিল এমনটাই।