পুলিশের ধমক নয়, থানায় ঢুকলেই শোনা যায় পাখিদের কলতান
আজকাল | ২১ মার্চ ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইন রক্ষার পাশাপাশি পাখিদের যত্নে এগিয়ে এল থানা। থানা চত্বরে আগত পাখিদের জন্য ব্যবস্থা করল জল ও খাবারের। প্রচন্ড গরমে পাখিরা যাতে তাদের বাসাতে বসেই প্রয়োজনীয় জল ও খাবার পায় সেকথা মাথায় রেখেই এই বন্দোবস্ত। সুন্দরবনের অদূরেই কুলতলি থানায় এই ব্যবস্থা করেছেন পুলিশকর্মীরা। নেতৃত্বে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ফারুক রহমান।
এই থানার চারপাশে রয়েছে অসংখ্য গাছ। এই গাছগুলিকে ঘিরেই শুরু হয়েছে এই উদ্যোগ। গাছের ডালে ডালে বাসা বেঁধেছে অসংখ্য পাখি। আর এই উড়ন্ত অতিথিদের যত্ন নিতে থানার পুলিশকর্মীরা হয়ে উঠেছেন প্রকৃত বন্ধু। জানা গিয়েছে, থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ফারুক রহমান প্রায় সব গাছেই পাখিদের খাবার ও জলের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। গাছের ডালে ডালে বাঁধা হয়েছে খাবার ও জলের পাত্র।
প্রথমদিকে এটি ছিল একক উদ্যোগ। কিন্তু ধীরে ধীরে থানার অন্যান্য পুলিশ কর্মীরাও এতে সামিল হন। এখন নিয়মিতভাবে থানা চত্বরের গাছগুলিতে রাখা হচ্ছে খাবার ও জল। পাখিরাও যেন এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে কার্পণ্য করছে না। থানার চারপাশ এখন মুখরিত পাখির কলকাকলিতে। কুলতলি থানার কাছাকাছি এলেই এখন শোনা যায় নানা প্রজাতির পাখির ডাক। স্থানীয় বাসিন্দারাও বেশ খুশি এই উদ্যোগে। সাধারণত থানার পরিবেশ নিয়ে অনেকের মনে একরকম ভয় কাজ করে। কিন্তু কুলতলি থানায় ঢুকলেই এখন পাওয়া যায় এক অন্যরকম অনুভূতি, একটি সবুজ ও প্রাণবন্ত পরিবেশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, তাঁরা আগে ভাবতেও পারেননি থানার মতো জায়গায় এমন সুন্দর উদ্যোগ নেওয়া হবে। এটা শুধু পাখিদের জন্য ভালো হয়নি, সকলেরই মন ভালো হয়ে যায় এখানে এসে। পুলিশের কাজ শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা নয়। মানবিকতার পরিচয় দেওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কুলতলি থানার পুলিশ কর্মীরা সেটাই করে দেখিয়েছেন। জীব সেবার এই ছোট প্রচেষ্টাই বড় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে সকলের কাছে। এই উদ্যোগ প্রমাণ করে শুধু মানুষের জন্য নয়, প্রকৃতির প্রতিও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন। আর তাদের দেখানো পথে এভাবেই এগিয়ে আসুক আরও পুলিশকর্মীরা। এটাই চান প্রকৃতি প্রেমীরা।