• টাকা বরাদ্দ হলেও তৈরি হয়নি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট
    এই সময় | ২১ মার্চ ২০২৫
  • খাল ও নিকাশি নালা এসে মিশেছে গঙ্গায়। তার মাধ্যমে শহরের দূষিত জল গঙ্গায় গিয়ে পড়ছে। ফলে দূষিত হচ্ছে গঙ্গার জল। গঙ্গায় দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে জলজ প্রাণীরা। যে গঙ্গার জলে পুজো হয় তা এখন স্নানের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দূষণের হাত থেকে গঙ্গাকে বাঁচাতে নেওয়া নমমি গঙ্গা অ্যাকশন প্রকল্প। তারই অঙ্গ হিসাবে গঙ্গার আশপাশে যে সব পুরসভা রয়েছে সেখানকার নিকাশি নালার জল শোধন করে গঙ্গায় ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    এর জন্য সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বানানো হবে। এই খাতে কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করলেও নানা জটিলতায় আটকে রয়েছে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরির কাজ। কোথাও সবে কাজ শুরু হয়েছে, কোথাও আবার টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়া চলছে।

    উত্তর ২৪ পরগনার অন্যতম প্রাচীন জনপদ হালিশহর। এই পুর এলাকার সিংহভাগ জল নিকাশি নালার মাধ্যমে সরাসরি গঙ্গায় গিয়ে পড়ে। হালিশহর থেকে দৈনিক প্রায় ২২. ৯৪ এমএলডি (মিনিমাল লিকুইড ডিসচার্জ) দূষিত নোংরা জল গঙ্গায় পড়ে। সেই জলকে শোধন করার জন্য ১৬ এমএলডি ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বানানোর জন্য সবে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেই কাজ কবে সম্পূর্ণ হবে তার কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না প্রশাসনের কর্তারা।

    ব্যারাকপুর খাল দিয়ে রোজ প্রায় ৪.৮৭ এমএলডি নোংরা দূষিত জল প্রবাহিত হয়। এর জন্য নর্থ ব্যারাকপুর ৬.৫০ এনএলডি ক্ষমতার একটি এসটিপি বানানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার ডিপিআর পাঠানো ছাড়া আর কাজের কোনও অগ্রগতি নেই। বরানগরের কামারহাটি ড্রেনের জলকে শোধন করার জন্য ৬০ এলএলডি ক্ষমতার এসটিপি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেই কাজেরও বিশেষ অগ্রগতি হয়নি। হাওড়ার তেলকা ঘাট ড্রেনের জন্য আরুপাড়াতে ৬৫ এমএলডি ক্ষমতা সম্পন্ন একটা এসটিপি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    বরানগরের কুঠিঘাট ড্রেন, চিৎপুরের সার্কুলার খাল, হাওড়ার সরস্বতী খাল, এনসি পাল খাল, নাজিরগঞ্জ খাল, সিংহি মোড় খাল, রামকৃষ্ণ ঘাট ড্রেন, ফোরশোর রোড ড্রেন, নিমতলা বার্নিং ঘাট ড্রেন, শিবপুর বার্নিংঘাট ড্রেন, বালিখাল, ভাটপাড়া ড্রেন, চাপদানি ফেরি ঘাট, ডিভিসি খাল এবং খড়দা খালে এসটিপি তৈরির কাজ এখনও শুরুই হয়নি।

  • Link to this news (এই সময়)