• বিয়ে করেও কন্যাশ্রীর আবেদন, ১৪টি ভুয়ো আবেদনপত্র বাতিল
    এই সময় | ২১ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়, মালদা: কারও বিয়ে হয়ে গিয়েছে বছরখানেক আগে। কারও আবার সন্তানও রয়েছে। কিন্তু কন্যাশ্রী প্রকল্পে ২৫ হাজার টাকা পেতে বিবাহিত পরিচয় লুকিয়ে আবেদন জানিয়েছেন। প্রকল্পের কাজে বাড়ি বাড়ি ভেরিফিকেশনে গিয়ে এমনই আবেদনকারীদের হদিশ পেল চাঁচল মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর–২ ব্লক প্রশাসন। ইতিমধ্যে এমন ১৪টি ভুয়ো আবেদনের কথা জানতে পেরেছে তারা।

    বিষয়টি জানতে পেরেই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। এ ব্যাপারে হরিশ্চন্দ্রপুর–২-এর বিডিও তাপসকুমার পাল বলেন, ‘এমন ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক বা একাধিক কর্মীর যুক্ত থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বেশ কিছু তথ্য যাচাই করেই প্রকল্পের ভুয়ো আবেদনপত্রের হদিশ মিলেছে। সন্দেহ প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পাশাপাশি প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দিতে কিছু কর্মী কয়েকজন মহিলার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ।

    বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর হাই মাদ্রাসার কন্যাশ্রীর একাধিক আবেদনপত্রের তথ্য যাচাইয়ে মশালদহ অঞ্চলের তালগাছি ও করকরিয়া গ্রামে যান হরিশ্চন্দ্রপুর–২–এর জয়েন্ট বিডিও সোনাম ওয়াংদি লামা। তিনি জানিয়েছেন, তালগাছি ও করকরিয়া গ্রামে ১৬টি আবেদনের তথ্য যাচাই করে ১৪টি ভুয়ো আবেদনপত্র পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগে পঞ্চায়েত ও ব্লককর্মীর পরিচয় দিয়ে দু’জন কন্যাশ্রীর আবেদনপত্র নিয়ে সেখানে এসেছিলেন। প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।

    প্রশাসন সূত্রে খবর, ছাত্রীদের পড়াশোনায় আর্থিক সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকার কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করে। ১৩ থেকে ১৮ বছরের অবিবাহিত মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ বাবদ বছরে ১০০০ টাকা এবং ১৮ বছরের পরে তারা অবিবাহিত থাকলে এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আর সেই ২৫ হাজার টাকা পেতেই নিজেদের অবিবাহিত দেখিয়ে বিয়ের পরেও প্রকল্পে আবেদন করেছে সংশ্লিষ্ট এলাকার বেশকিছু মেয়ে।

  • Link to this news (এই সময়)