এই সময়: অনুকূল বাতাস, সমুদ্র থেকে ঢুকে পড়া প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি সামনের কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখীর উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর দক্ষিণবঙ্গের ১৫টি জেলার সব ক’টিতেই সামনের কয়েক দিন বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টি ও ঘণ্টায় ৫০–৬০ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস জারি করেছে।
সাধারণত বছরের এই সময়টা কালবৈশাখীর জন্য শহর ও শহরতলির ট্রেন পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটে। রেলের ট্র্যাকে গাছ পড়ে যাওয়া, ওভারহেড তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বা অল্প সময়ের মধ্যে তুমুল বৃষ্টিতে ট্র্যাকে জল জমা — এই ধরনের ঘটনা যাতে পরিষেবার সমস্যা না ঘটাতে পারে, তার জন্যই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশন।
পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত বলেন, ‘দুই ডিভিশনের যে জায়গাগুলোর ওভারহেড–ব্যবস্থা তুলনামূলক ভাবে দুর্বল অথবা সংবেদনশীল, সেই জায়গাগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। জোরালো হাওয়ায় যাতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন না হয় তার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় সিগন্যাল কেবল মেরামত করা হয়েছে। রিলে রুমগুলোকে বজ্র–প্রতিরোধী করা হয়েছে।’ এ ছাড়াও ট্র্যাকের পাশে যাতে জল না জমে, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
কালবৈশাখীর সময়ে রেলের সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথার কারণ হয় রেল ট্র্যাকের ধারের গাছগুলো। ট্র্যাকে গাছ পড়া এবং গাছের ডাল পড়ে ওভারহেড তার ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনা প্রতি বছরই হয়। এই কারণে ট্র্যাকের পাশের গাছগুলোর মধ্যে যেগুলো বেশি দুর্বল অথবা যাদের ডালপালা অনেকটা দূর পর্যন্ত বিস্তৃত, তাদের ছাঁটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বজ্রপাতের ফলে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ব্যাক–আপ হিসেবে প্রতি স্টেশন ও কন্ট্রোল রুমেই জেনারেটরের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। লোকো পাইলট ও গার্ডদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রবল ঝড়–বৃষ্টি হলে নিরাপত্তার জন্য তাঁরা যেন ট্রেনের গতি কমিয়ে চালান।