‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ নিয়ে মমতাকে সমর্থন, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন গায়ত্রী
হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ মার্চ ২০২৫
হিউম্যানিটিজের নোবেল হিসেবে পরিচিতি নরওয়ের ‘হলবার্গ’ পুরস্কার পাচ্ছেন প্রখ্যাত সাহিত্যতাত্ত্বিক এবং দার্শনিক অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। সে বিষয়টি জানতে অধ্যাপককে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর জবাবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন তিনি। একই সঙ্গে দরিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন অধ্যাপক। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ধর্মনিরপক্ষ’ বলেও উল্লেখ করেছেন।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে অধ্যাপক গায়ত্রী লিখেছেন, ‘হলবার্গ পুরস্কারের জন্য আপনি আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ এলাকায় আমার কাজের বিষয়ে আপনি যে উল্লেখ করেছেন তা আমাকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে। কারণ আমি দারিদ্র্য দূরীকরণে আপনার নিজের প্রচেষ্টার জন্য সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ।’
তিনি আরও লিখেছেন, গত চল্লিশ বছর ধরে তিনি বাংলার বিভিন্ন অনগ্রসর জেলায় দরিদ্রদের গণতান্ত্রিক শিক্ষার প্রতি অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করেছেন। সেই সমস্ত মানুষ তাঁর এই পুরস্কারে আনন্দিত। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি লেখেন, ‘আশা করি আপনি আমাদের প্রিয় বাংলায় বৌদ্ধিক শ্রমের দিগন্ত প্রসারিত করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টার উপর সদয় নজর রাখবেন।’ এছাড়াও, বাংলা সাহিত্যের ধ্রুপদী রচনাগুলিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করার জন্য গায়িত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সে প্রসঙ্গে অধ্যাপক লেখেন, ‘আমি আনন্দিত যে আপনি আমাদের ১০০০ বছরের বাংলা লেখার অনুবাদের কথাটি উল্লেখ করেছেন। বিশ্বের সেরা কিছু লেখক এই পাঠ্যগুলির বাংলা অনুবাদ করছেন। আমরা দক্ষিণ এশীয় শিল্পীদের কাছ থেকে তহবিল পেয়েছি। আপনার অনুমোদন নিঃসন্দেহে আমাদের তহবিল সংগ্রহে আমাদের জন্য অনেক সহায়ক হবে।’ অধ্যাপক আরও জানান, তিনি ভারত ও বাংলা সম্পর্কে চিন্তিত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে সমর্থন করেছেন অধ্যাপক।
উল্লেখ্য, সাহিত্য তাত্ত্বিক এবং দার্শনিক চিন্তাধারার জন্য এই পুরস্কার পাচ্ছেন অধ্যাপক গায়ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অধ্যাপককে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছিলেন, ‘অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাককে আরও একটি শীর্ষ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের জন্য আমি অভিনন্দন জানাই। অধ্যাপক স্পিভাক সাহিত্য তত্ত্ব এবং দর্শনে তাঁর অবদানের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত। তবে পশ্চিমবঙ্গের কিছু প্রত্যন্ত গ্রামে দরিদ্র মানুষদের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে তাঁর সহযোগিতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। বাংলা সাহিত্যের ধ্রুপদী রচনাগুলিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করার জন্য তাঁর প্রচেষ্টা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। এই মহান পণ্ডিতের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।’