এই সময়: গত বছর ২৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অর্ডারে দেখা গিয়েছিল ৩৩ জন আইপিএস অফিসারের প্রোমোশন আটকে গিয়েছে বা আছে। ২০ জন ডিআইজি থেকে আইজি হতে পারেননি। ১৩ জন এসপি-র ডিআইজি হওয়া থমকে ছিল বা আছে।
সেই অর্ডারে জানানো হয়েছে, ‘ভেকেন্সি না থাকায়’ ২০২৫-এর জানুয়ারি থেকে সকলকে প্রোমোশন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যখন ভেকেন্সি হবে, সেই মতো পদোন্নতি হবে। এই নিয়ে বিস্তর গুঞ্জনের মধ্যেই বুধবার, ১৯ মার্চ, অ্যাডিশনাল এসপি র্যাঙ্কের ১২ জন আইপিএস-এর এসপি র্যাঙ্কে প্রোমোশন হয়েছে।
এতে দেখা যাচ্ছে একাধিক জেলায় এসপি ছাড়াও আরও এক জন এসপি র্যাঙ্কের অফিসার রয়েছেন! কারণ সকলের ক্ষেত্রে প্রোমোশন হলেও তা হয়েছে ইন-সিটু (অর্থাৎ বর্তমানে যিনি যেখানে বর্তমানে পোস্টেড রয়েছেন তা বদল না করে)। তার ফলে যে সব জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারদের প্রোমোশন হয়েছে, সেখানে এখন দু’জন একই পদমর্যাদার অফিসার। এমন জেলার সংখ্যা ৮টি। পুরুলিয়া, বীরভূম, বারুইপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার, মালদা, পূর্ব মেদিনীপুর, কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলা ও সুন্দরবন পুলিশ জেলা।
এ ক্ষেত্রে কি কোনও ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ক্রাইসিস’ হতে পারে?
এডিজি র্যাঙ্কের এক অফিসার বললেন, ‘আমি প্রায় তিন দশক রয়েছি। এ রকম আগে হয়েছে বলে মনে পড়ছে না। তবে প্রশাসনিক সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ জেলার পুলিশ সুপারের পদে একজনই থাকছেন।’ তবে ডিআইজি পদমর্যাদার এক অফিসারের ব্যাখ্যা, ‘এখানে আর্থিক বিষয় যুক্ত। প্রশাসনিক সমস্যা হবে না, তবে দু’মাসের বেশি একই জেলায় দু’জন এসপি র্যাঙ্কের অফিসার থাকতে পারেন না।’ একজন এসপি র্যাঙ্কের অফিসার অবশ্য জানাচ্ছেন, অনেক আগে এসপি (অপারেশন) পোস্ট ছিল। তখন কিছু জেলায় দু’জন এসপি ছিলেন!
একই দিনে তিন জন অপেক্ষমান এসপি-র ডিআইজি র্যাঙ্কে প্রোমোশন অর্ডার হয়েছে। তবে বদলি হননি কেউ-ই। তাঁরা হলেন, ভোলানাথ পাণ্ডে (ডিসি, সাউথ-ইস্ট, কলকাতা পুলিশ), জ়াফর আজমল কিদওয়াই (ডিসি, আরএফ, কলকাতা পুলিশ) ও অরিজিৎ সিনহা (এসপি, ঝাড়গ্রাম)। তবে এই তিন জনের কারও ক্ষেত্রেই এফেক্টিভ ডেট জানুয়ারির ১ তারিখ নয়।
নবান্নের এক কর্তার কথায়, ‘২০০৬-১১ ব্যাচের রেগুলার ও প্রোমোটি আইপিএসদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয়েছে। স্টেট পুলিশের দ্রুত প্রোমোশন, কোনও ক্ষেত্রে ক্যাডার স্ট্রেংথ বিরাট হওয়া ও সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে দীর্ঘ দিন খুব বেশি অফিসারকে না পাঠানোয় এমন ছবি।’ তিনি জানান ডিসেম্বরের ওই মিটিংয়ে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, ডিজিপি রাজীব কুমার ও স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী ছিলেন। সব সিদ্ধান্তই সর্বসম্মত ভাবে নেওয়া হয়েছে।