পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে শুক্রবার শপথ নিলেন সোমনাথ দে। তিনি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার। ২০২০-২০২২ পর্যন্ত পানিহাটি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সনও ছিলেন সোমনাথ। এ দিন বোর্ড অব কাউন্সিলারদের মিটিং হয়। সেখানে ৩৫ জনের মধ্যে উপস্থিত ৩২ জন কাউন্সিলারের সমর্থনেই সোমনাথ দে চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত হন। তবে প্রাক্তন চেয়ারম্যান মলয় রায় ওই মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন না। তিনি অসুস্থ থাকায় আসতে পারেননি বলে জানিয়েছেন নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান।
এ দিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সোমনাথ বলেন, ‘মানুষকে উন্নততর পরিষেবা দেওয়াই আমার প্রথম কাজ হবে। বিরোধীদের কথার এখন কোনও উত্তর দেব না। আগে কাজ করব।’ যে অমরাবতী মাঠ নিয়ে এত বিতর্ক সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গোটা বিষয়টি রাজ্য সরকার দেখছে। সরকারি ভাবে মাঠ অধিগ্রহণ হচ্ছে।’
১৮ মার্চ দুপুর ১২টায় ডাকা বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ৩৩ জন কাউন্সিলার। সে দিনই প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলা বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে মলয় রায়ের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। নতুন পুরপ্রধান কে হবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল জোর জল্পনা। তবে সোমনাথের নাম প্রথম থেকেই ছিল তালিকায়।
পানিহাটির প্রায় ৮৫ বিঘার অমরাবতী মাঠ বিক্রি নিয়ে জল্পনা শুরু হতেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মাঠটিকে সরকারি ভাবে অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি পানিহাটির পুরপ্রধান মলয় রায়কে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দু’দফায় মলয়কে ফোন করে সেই নির্দেশ জানিয়ে দেন। গত ১১ মার্চ পুরমন্ত্রীর ফোন পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁর চেতলার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন মলয়। পরদিন ১২ মার্চ দুই প্রতিনিধি মারফত এসডিও–র কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তার পরেও যদি বিদ্রোহ থামায়নি মলয়। বলেছিলেন ‘খেলা হবে’। যা নিয়ে রীতিমতো তেতে উঠেছিল পানিহাটির রাজনীতি। আপাতত কি শীত ঘুমে তিনি? প্রশ্ন তুলেছেন দলে থাকা তাঁরই বিরোধীরা।