• রেলের ফাঁকা আবাসনে চুরি রুখে চিত্তরঞ্জনে হিরো ভালু
    এই সময় | ২১ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়, আসানসোল: মনিবকে বাঁচাতে চন্দ্রবোড়ার সঙ্গে লড়াই করেছিল রকি। পা দিয়ে বিষধরটিকে সরিয়ে ঘরে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল। তবে সেই সময়ে চন্দ্রবোড়াটি ছোবল মারে রকিকে। হাসপাতালে চিকিৎসার পর এখন অবশ্য একেবারে সুস্থ দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ের বাসিন্দা বুদ্ধদেব মণ্ডলের বাড়ির পোষ্য ল্যাব্রাডর রকি। ফের একবার তার কথাই মনে করিয়ে দিল রেলশহর চিত্তরঞ্জনের এক বাড়ির পোষ্য পথকুকুর ভোলু।

    গত মঙ্গলবার গভীর রাতে চিত্তরঞ্জনের আরসাইট এলাকার ৪ নম্বর রাস্তার ৮/বি আবাসনে হানা দিয়েছিল দু’জন দুষ্কৃতী। চুরির উদ্দেশে ফাঁকা ওই আবাসনের দরজার তালা ভাঙার চেষ্টা করছিল তারা। সে সময়ে পাশের ৮/এ আবাসনের বাসিন্দা সোমা সরকারের পোষ্য ভালু প্রচণ্ড চিৎকার করে দুষ্কৃতীদের দিকে তেড়ে যায়। তার চিৎকার শুনে বেরিয়ে আসেন সোমা।

    প্রতিবেশীর বাড়িতে অপরিচিত দু’জনকে দেখে সোমা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা জানায়, তারা রেলের আইওডব্লিউ (ইনস্পেক্টর অফ ওয়ার্ক) বিভাগে কাঠের কাজ করে। কিন্তু বাড়ির মালিকের অনুপস্থিতিতে এত রাতে কেন তারা এসেছে জানতে চাইলে তার কোনও সদুত্তর তারা সোমাকে দিতে পারেনি।

    সোমা বলেন, ‘চার জন দুষ্কৃতী দু’টি মোটরবাইকে চেপে এসেছিল। প্রত্যেকেরই মাথা ঢাকা ছিল হেলমেটে। ক্রমাগত চিৎকার করে ভালু তেড়ে যাওয়ায় দুষ্কৃতীরা পিছু হটতে শুরু করে। রাস্তার উপর অন্য দু’জন দু’টি মোটরবাইক চালু করেই রেখেছিল। ভালুর চিৎকারে ওরা সবাই দ্রুত মোটরবাইকে চেপে এলাকা ছাড়ে।’

    সোমা জানান, ন’বছর আগে ভালুকে রাস্তা থেকে তুলে এনে তাকে পরিবারের এক সদস্যের মতো বাড়িতে রাখেন তাঁরা।

    এ দিকে, ৮/বি আবাসনের মালিক গৌতম মহান্তি বলেন, ‘আমরা সপরিবার গড়বেতায় গিয়েছিলাম। একজনকে বাড়িতে থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেননি। কুকুরটি না থাকলে বাড়িতে চুরি হওয়া কোনও ভাবেই হয়তো আটকানো যেত না।’ উল্লেখ্য, গত সোমবার ১৭ মার্চ চিত্তরঞ্জনেরই ৮৫ নম্বর রাস্তার ১১/বি আবাসন ফাঁকা থাকায় সর্বস্ব চুরি যায়।

  • Link to this news (এই সময়)