• ‘সেই রাতে’ ট্রমা কেয়ারে ডিউটি ছিল নিরাপত্তারক্ষী অমিতের, বললেন ‘ফাঁকফোকর’ ছিল!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ মার্চ ২০২৫
  • একমাত্র সন্তানকে হারিয়েছেন তাঁরা। সেই কৃতী কন্যাকে হারানোর সঙ্গে-সঙ্গেই হারিয়ে গিয়েছে তাঁকে ঘিরে তিল তিল করে গড়ে তোলা সমস্ত স্বপ্ন। কিন্তু, তা বলে মেয়ের সঙ্গে যে অন্যায় ও অত্যাচার হয়েছে, তার সুবিচার আদায় না করে হার মানতে রাজি নন আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নিহত তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার বাবা-মা।

    প্রশাসন, তদন্তকারী সংস্থা ও আদালতের কাছে তাঁদের আবেদন বা আর্জি যে শুধুই আবেগের তাগিদে নয়, তার পিছনে যথেষ্ট যুক্তিগ্রাহ্য কারণও যে রয়েছে, সেটা সিবিআই-এর গত কয়েক দিনের আচরণেই স্পষ্ট গিয়েছে।

    বৃহস্পতিবার কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল একই কারণে। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এই দুই দফায় যাঁদের তলব করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই ঘটনার দিন আরজি করে ডিউটিতে ছিলেন।

    এই তালিকারই একজন হলেন অমিত নামে এক যুবক। এদিন সিবিআই-এর গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হওয়ার পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোতেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হন তিনি। সাংবাদিকরা তাঁকে বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। অমিত সেইসব প্রশ্নের যেসমস্ত উত্তর দিয়েছেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    টিভি নাইন বাংলা-র অনলাইন সংস্করণে সেই প্রশ্নোত্তর প্রকাশ করা হয়েছে। সেই অনুসারে - অমিত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনার রাতে ট্রমা কেয়ারে ডিউটিতে ছিলেন তিনি। সেই ট্রমা কেয়ার, যেখানে সেই রাতে গিয়েছিল সঞ্জয় রায়। যাকে ইতিমধ্যেই তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনে দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠিয়েছে নিম্ন আদালত।

    অমিত জানান, আগেও তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু, এদিন আবার ডাকা হয়েছিল। তাই তিনি এসেছিলেন। অমিতের কথায়, আগের জিজ্ঞাসাবাদে 'কিছু ফাঁকফোকর' ছিল! আবার তিনি নিজেই জানিয়েছেন, 'ফাঁকফোকর ছিল বলতে আরও ডিটেইলসে জানার প্রয়োজন ছিল!' অর্থাৎ - সেদিনের ঘটনা এদিন আরও বিস্তারিত ও নিখুঁতভাবে অমিতের কাছে জেনে থাকতে পারেন সিবিআই গোয়েন্দারা। কিন্তু, তা নিয়ে খুব স্বাভাবিকভাবেই সব কথা প্রকাশ্য়ে বলতে রাজি হননি অমিত।

    যদিও তিনি আরও জানান, আগে তাঁকে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছিল, এদিন তার সঙ্গে আরও অনেক নতুন প্রশ্নও করা হয়। সেই রাতে সঞ্জয় রায়ের গতিবিধি কী ছিল, তা নিয়েও নতুন করে অমিতকে প্রশ্ন করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

    সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আরজি করে নিহত তরুণীর বাবা-মা যেভাবে দিল্লিতে সিবিআই-এর সদর কার্যালয়ে ছুটে গিয়েছেন এবং দাবি করেছেন - সঞ্জয় রায় একা দোষী হতে পারে না। এর পিছনে আরও অনেকে আছে। তাদের সামনে আনা হোক। শীর্ষ আদালতও সন্তানহারা বাবা-মায়ের আর্জি মেনে কলকাতা হাইকোর্টকে মামলা শোনার অনুমতি দিয়েছে।

    মনে করা হচ্ছে, কলকাতা হাইকোর্টের মুখোমুখি হওয়ার আগেই নিহতের বাবা-মায়ের অভিযোগ ও দাবি মেনে তদন্তের সমস্ত 'ফাঁকফোকর' মেরামত করার চেষ্টা করছে সিবিআই।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)