• জামিনের মেয়াদ বাড়াতে ফের আদালতে ‘কাকু’, ক্ষুব্ধ বাহিনীর ‘দোতলা দখলে’!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ মার্চ ২০২৫
  • কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে নাজেহাল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'। কারণ, আদালতের নির্দেশ ছিল, অন্তর্বর্তী জামিনে জেলের বাইরে, নিজের বাড়িতে থাকাকালীন তাঁর উপর সর্বক্ষণ নজরদারি চালাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু, আদালতের সেই নির্দেশ হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা কার্যত তাঁর বাড়ির দোতলা দখল করে বসেছেন বলে দাবি সুজয়কৃষ্ণের। এর প্রতিকার চেয়ে আজ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। পাশাপাশি, তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়ানোরও দাবি জানান তিনি।

    উল্লেখ্য, মূলত স্বাস্থ্য়ের অবনতি হওয়াতেই শর্তসাপেক্ষে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই জামিনের মেয়াদ রয়েছে চলতি মার্চ মাসের শেষ পর্যন্ত। অর্থাৎ - সেই হিসাবে আর দিন দশেক পর ফের হাজতে ফিরতে হবে 'কালীঘাটের কাকু'কে।

    এই প্রেক্ষাপটে এদিন ফের একবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী। এবং তাঁর মক্কেলের স্বাস্থ্যের কারণেই তাঁর জামিনের মেয়াদ আরও বাড়ানোর আর্জি জানান তিনি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হতে পারে।

    এদিকে, কাকুকে অন্তর্বর্তী জামিনের দেওয়ার বিনিময়ে আদালত কিছু কঠোর শর্ত আরোপ করেছিল। যথা - 'কাকু' তাঁর বাড়ির বাইরে পা রাখতে পারবেন না। কেবলমাত্র চিকিৎসা করাতেই বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন এবং তার জন্যও তাঁকে সিবিআই-এর কাছে অনুমতি নিতে হবে।

    'কাকু'কে তাঁর দু'টি মোবাইল নম্বরই সর্বক্ষণ যোগাযোগের জন্য সিবিআই-এর কাছে দিয়ে রাখতে হবে। এছাড়াও, 'কাকু'র উপর সর্বদা নজরদারি রাখবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর এখানেই বেঁধেছে গোল!

    সুজয়কৃষ্ণের অভিযোগ, আদালতের নজরদারি সংক্রান্ত নির্দেশ মান্য করার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাড়ির বাইরে থাকার কথা। কিন্তু, তারা নাকি মাঝেমধ্যেই বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ছে। বাড়ি ভিতরে থাকা নানা সুবিধা ব্যবহার করছে। এমনকী, প্রায় প্রতি রাতেই বাড়ির দোতলার শোওয়ার ঘরগুলি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দখলে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। আদালতের কাছে এর বিহিত চেয়েছেন তিনি।

    সুজয়কৃষ্ণ আরও জানিয়েছেন, তিনি যখন চিকিৎসা করাতে বাইরে যাচ্ছেন, তখনও বাহিনীর সদস্যরা তাঁর পিছন পিছন যাচ্ছেন। চিকিৎসাকেন্দ্রে কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করছেন কিনা, তা জানতে সেখানকার রেজিস্ট্রার পর্যন্ত যাচাই করছেন তাঁরা। বাহিনীর সদস্যদের এইসব আচরণ নিয়ে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সুজয়কৃষ্ণ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)