হাওড়ায় জলসংকট মিটবে কবে? কলকাতা থেকে আসছে জলের ট্যাঙ্ক, নতুন করে নামল ধস
হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ মার্চ ২০২৫
গরম পড়তে শুরু করেছে। আর সেই সময়ই শুরু হয়ে গেল হাওড়ায় তীব্র জলসংকট। এসবের মধ্য়েই শুক্রবার সকালে ভাগাড় অঞ্চলে মেরামতির সময় ফের নতুন করে ধস নামে। ফলে ফের পরিস্থিতি বিগড়ে যায়। এবার প্রশ্ন হাওড়ার জলসংকট কবে মিটবে?
এদিকে হাওড়া বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয়েছে জলসংকট। হাওড়ার লিলুয়া, সি রোড, বি রোড. বেলগাছিয়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয়েছে জলের সংকট।
শিবপুরের কিছু এলাকাতেও এই জলসংকটের প্রভাব পড়েছে। তবে ইতিমধ্য়েই একাধিক পুরসভা হাওড়ার পাশে দাঁড়িয়েছে। হুগলির উত্তরপাড়া থেকেও জলের গাড়ি আনা হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও কথা হয়েছে। কলকাতা পুর এলাকা থেকেও জলের গাড়ি পাঠানো হচ্ছে।
হাওড়া পুরকর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে, কলকাতা পুরসভার মেয়রের সঙ্গে কথা হয়েছে। একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যানরা সবরকমভাবে সহায়তা করছেন। উত্তর হাওড়ার ১৪টি ওয়ার্ড, শিবপুরের কয়েকটি ওয়ার্ডে, মধ্য় হাওড়ার টিকিয়াপাড়াতেও প্রভাব পড়েছে। সেখানে জল দেওয়া হয়েছে। এদিকে কলকাতা পুরসভার তরফে ১৫টি জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হচ্ছে। তবে হাওড়া পুরকর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ধাপে ধাপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হচ্ছে। ২-৩ দিনের মধ্য়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
এদিকে অন্তত ২২টি ওয়ার্ডে জলের এই সংকটের প্রভাব পড়েছে। এর জেরে মহা সমস্য়ায় পড়েছেন বাসিন্দারা। পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য অন্য়ান্য পুরসভাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন মহলের তরফে দাবি করা হচ্ছে ভাগাড়ের ভেতর ময়লা, আবর্জনার চাপেই পাইপ ফেটে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা হয়েছিল। শুক্রবার ফের একই ধরনের ঘটনা হচ্ছে। এর জেরে পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হয়ে উঠেছে। একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা যাচ্ছে। তার সঙ্গেই জলসংকট। একেবারে মহা সমস্যায় পড়েছে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা।
তবে আপাতত অতিরিক্ত জলের ট্যাঙ্ক এনে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে হাওড়ায় জলসংকট নতুন কিছু নয়। তবে এবার একেবারে পাইপই ফেটে গিয়েছে। ভূগর্ভস্থ পাইপ ফেটে গিয়েছে বলে খবর। তার জেরে সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। জলের ট্যাঙ্ক যেখানে পাঠানো হচ্ছে সেখানেও দীর্ঘ লাইন জল পাওয়ার জন্য়। বুধবার রাতে বেলগাছিয়া ভাগাড়ের কাছে ভূগর্ভস্থ পাইপলাইনে প্রথম ফাটল দেখা গিয়েছিল। এরপরই জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে মেরামতির কাজ শুরু হয়। ইঞ্জিনিয়াররা আসেন। তবে বাসিন্দাদের দাবি এই সমস্যায় স্থায়ী সমাধান কবে হবে?