• গাছ ভরে গিয়েছে মুকুলে, বেড়িয়েছে কুঁড়ি, 'আম আদমি'র ঘরে ঘরে এবছর কি সস্তায় আম?...
    আজকাল | ২২ মার্চ ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুকুলে ভরে গিয়েছে গাছ। সেই সঙ্গে ডালে ডালে দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট আমের কুঁড়ি। হাসি ফুটেছে মালদার আম চাষীদের মুখে। তাঁদের আশা, আবহাওয়া বিরূপ না হলে এবার গাছ নুইয়ে পড়বে পাকা আমের ভারে। আমের জন্য বিখ্যাত এই জেলায় এখন বিঘার পর বিঘা জমিতে শুধুই চাষীদের ব্যস্ততা। সারাদিন ধরে হচ্ছে গাছের পরিচর্যা। চলছে প্রয়োজনীয় স্প্রে এবং আনুসঙ্গিক কাজ।

    জেলা উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদায় সাড়ে তিন লক্ষ হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। জেলার পরিচিত আম ফজলি, হিমসাগর, লক্ষণভোগ, আম্রপালি যেমন আছে তেমনি মিয়াজাকি এবং আলফানসো আমেরও পরীক্ষামূলক চাষ শুরু হয়েছে। জেলার আম চাষী সুনীল দাস জানান, 'এবছর জেলায় আমের মুকুল সঠিক সময়ে এসেছে। আমাদের মনে হচ্ছে এর ফলে ফলনও অনেক বেশি হবে। পাশাপাশি এটাও ঠিক মরশুমের শুরুতে মুকুল এলেও আবহাওয়া বিরূপ হলে আমের ফলন ঠিকঠাক হয় না। যে কারণে গাছের পরিচর্যার পিছনে খরচ হলেও খরচ ওঠে না। 

    আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় চাষীদের। কিন্তু এবারের কথা বলতে পারি যদি কালবৈশাখীর তাণ্ডব বা আবহাওয়া বিরূপ না হয় তবে ফলন এবছর ভালো হবে।' প্রসঙ্গত, আগের বছর আমের ফলন ভালো না হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় চাষীদের। জেলার উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিক সামন্ত লাইক জানান, এবছর এখনও পর্যন্ত মুকুল ভালোই আছে। চাষীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও চলছে। তবে ভয় কালবৈশাখী এবং শিলাবৃষ্টির। যদি বৃষ্টি তার স্বাভাবিক নিয়মে নামে তবে ফলন ভালোই হবে। 

    মালদা ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল-এর সভাপতি উজ্জ্বল সাহা জানান, আম কীভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং বিদেশে রপ্তানির জন্য কী কী শর্ত বা নিয়মাবলী আছে তা নিয়ে চাষীদের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আশ্বিনা আমের জিআই ট্যাগ-এর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানান। জেলার আম চাষীদের দাবি, যদি প্রকৃতি শেষপর্যন্ত সহায় হয় তবে ফলন ভালো হবে এবং এবছর আমের দামও কমবে।
  • Link to this news (আজকাল)