যশোর রোডে ফের দুর্ঘটনা। স্কুটিতে যাওয়ার সময়ে ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু একজনের। মৃতের নাম সোমেন পাল। স্কুটিতে থাকা তাঁর স্ত্রী ও শিশুও আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যশোর রোডে একের পর এক দুর্ঘটনায় পথ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রামে একটি শপিং মলের সামনে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় ওই পরিবার। এ দিন রাতে বারাসাতের দিক থেকে মধ্যমগ্রামের দিকে আসছিলেন তাঁরা। সেই সময়ে পাশ দিয়ে যাওয়া একটি ডাম্পারে কোনওভাবে ধাক্কা লাগে। নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে স্কুটিতে থাকা তিন জনেই ছিটকে পড়েন রাস্তায়।
মহিলা-সহ শিশুটি রাস্তার বাঁদিকে পড়লেও স্কুটি চালক ডানদিকে ছিটকে পড়েন। সেই সময়েই পিছন থেকে আসা আরেকটি ডাম্পারের চাকায় ওই ব্যক্তির দেহ আটকে প্রায় ৩০০-৪০০ মিটার ঘষে এগিয়ে যায়। পথচারীরা ডাম্পারটিকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করলেও চালক কর্ণপাত করেননি বলে দাবি স্থানীয়দের।
পরে ডাম্পারটিকে মধ্যমগ্রাম ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ কিছুটা দূরে আটক করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। মহিলা ও শিশুটিকে উদ্ধার করে মধ্যমগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে বারাসাত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে একের পর এক পথ দুর্ঘটনা ট্রাফিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে একাধিকবার সচেতন করা হলেও ট্রাফিকের নির্দেশ মানছেন না বহু চালকই বলে অভিযোগ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আহত মহিলাকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।