• আন্ডারপাস না করেই লেভেল ক্রসিং তোলায় আপত্তি, ‘গান্ধীগিরি’ দেখালেন গ্রামবাসীরা
    এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৫
  • আদ্রা ডিভিশনের অধীনে থাকা শালবনির মণ্ডলকুপি রেলগেট তুলতে এসেছিলেন রেলের আধিকারিকরা। সঙ্গে এনেছিলেন রেল পুলিশকেও। ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হলো আধিকারিকদের। আধিকারিকরা রেলগেট সরাতে আসতেই একযোগে ‘হরিনাম সংকীর্তন’ শোনালেন গ্রামবাসীরা। 

    বছর দশেক আগে থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি ব্লকের মণ্ডলকুপি রেলগেট (লেভেল ক্রসিং)টি তুলে দিতে চাইছে রেল। গ্রামবাসীরা এর বিরুদ্ধে গত ১০ বছর ধরেই লড়াই করে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন তাঁরা। জেলাশাসক ও বিডিও-র মধ্যস্থতায় রেল আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, ‘আগে আন্ডারপাস তৈরি করা হোক। তার পরেই রেলগেট বন্ধ করা হোক।’

    শুক্রবার দুপুরে ফের সেই মণ্ডলকুপি রেলগেট তুলতে আসেন আদ্রা ডিভিশনের আধিকারিকরা। সঙ্গে নিয়ে আসেন বিশাল রেল পুলিশ বাহিনী। বৃহস্পতিবার আদ্রা ডিভিশনের তরফে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ ও শালবনি থানাকেও জানানো হয় বাহিনী রাখার জন্য। যদিও, পাল্টা জেলা পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘এ ভাবে রেলগেট তোলা সম্ভব নয়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে যা করার করতে হবে। আদালতেরও তেমনটাই নির্দেশ রয়েছে।’ শেষ পর্যন্ত নিজেদের পুলিশ বাহিনী নিয়েই পৌঁছন রেল আধিকারিকরা। রেল আধিকারিকরা পৌঁছনোর পরই গ্রামবাসীরা তাঁদের বলেন, ‘আমাদের দাবি মতো আগে আন্ডারপাস তৈরি করে দিন, তারপর রেলগেট তুলুন।’ এর পরেই খোল, করতাল সঙ্গে নিয়ে গ্রামবাসীরা হরিনাম সংকীর্তন শুরু করেন। 

    স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান সৌমেন ঘোষ বলেন, ‘রেললাইনের পাশেই শালবনি, মণ্ডলকুপি, আউসবেড়্যা প্রভৃতি এলাকার কয়েক হাজার কৃষকদের ২-৩ হাজার বিঘা কৃষি জমি রয়েছে। এই রেলগেট বা লেভেল ক্রসিং তুলে দিলে গ্রামবাসীদের কয়েক কিলোমিটার ঘুরে জমিতে যেতে হবে। অনেক ক্ষতির মুখে পড়বেন তাঁরা। সেই কারণেই আন্ডারপাসের দাবি করা হচ্ছে।’

  • Link to this news (এই সময়)