• ‘‌তদন্তের নামে প্রতিবার কুমিরের ছানা দেখিয়ে বিভ্রান্ত করছেন’, ক্ষুব্ধ বিচারপতি‌
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ মার্চ ২০২৫
  • গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ‌ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তাই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। এই ইস্যুতে রাজ্য এবং কমিশনের পৃথক বয়ান দেখে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। এই পরিস্থিতিতে বিভাগীয় তদন্তের জন্য বিশেষ দল গঠনের চিন্তাভাবনা করছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় যাঁরা অভিযুক্ত এবার তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত শুরু করে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। একইসঙ্গে জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে জানতে চাইলেন বিচারপতি। রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ ব্যক্ত করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

    এদিকে ৩১৩ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ওই অভিযোগে রাজ্যের পক্ষ থেকে করা এফআইআরে যাদের নাম রয়েছে তাদের অভিযুক্ত বলতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘‌এদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই। এফআইআরে কেমন করে নাম আছে সেটা দেখতে হবে। এফআইআরে নাম থাকলেই কি তাকে অভিযুক্ত বলতে হবে?’‌ এই কথা শুনে ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, ‘‌৩১৩ জনকে বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে বলে কমিশনই বলেছে। আপনার স্কুল শিক্ষা দফতর নিজেই তদন্ত কমিটি করে দেয়। তারপরও রাজ্য সরকার বিশ্বাস করছে না? ওরা কোন ধরণের ভিআইপি যে ওদের কিছু জিজ্ঞেস করা যায় না? তদন্ত চালিয়ে যান। নোটিশ দিন। তদন্তের নামে প্রতিবার আপনারা কুমিরের ছানা দেখিয়ে বিভ্রান্ত করছেন।’‌


    অন্যদিকে তদন্তকারী সংস্থা কেন এত নড়বড়ে?‌ প্রশ্নও করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতির বক্তব্য, ‘ওরা কোন ধরণের ভিআইপি যে ওদের কিছু জিজ্ঞেস করা যায় না?’‌ আদালত বান্ধব আইনজীবী কৌশিক গুপ্ত দাবি করেন, পুলিশ এফআইআরের উপর সঠিক পথেই কাজ করছে। এবার ৪১ ধারায় নোটিশ পাঠানো উচিত। এরপর বিচারপতি বসু প্রশ্ন তুললেন, ‘‌সিরিয়াস তদন্ত করতে চাইছেন? নাকি কিছু করবেন না?’‌ তখন নোটিশ পাঠানোর কথা বলেছেন আদালত বান্ধব আইনজীবী কৌশিক গুপ্ত। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, ‘একবছর আগে এফআইআর করা হয়েছে। কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? অন্তত একটা ফেয়ার তদন্ত হোক।’‌

    এছাড়া আগামী ৭ এপ্রিল তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিনয় তামাং, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য–সহ একাধিক ব্যক্তির নাম রয়েছে বলে আদালত সূত্রে খবর। তবে বেআইনি নিয়োগ হওয়ার পরও রাজ্য সরকার সন্দেহ প্রকাশ করছে কেন? এই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। জবাবে আদালত বান্ধব আইনজীবীর সওয়াল, ‘অভিযোগ গুরুতর হলেই সেটা করা যায়।’‌ এই সওয়াল–জবাব শুনে রাজ্য সরকারকে তদন্ত চালিয়ে যেতে বলেন বিচারপতি। তবে রাজ্য় সরকার জানিয়েছে, নোটিশ শুধুমাত্র অভিযুক্তদের দেওয়া যায়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)