শহর কলকাতায় আবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। শনিবার সকালে বর্ষণমুখর দিনে বিধ্বংসী আগুন লাগল নারকেলডাঙার একটি কাগজের কারখানায়। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ক্ষণিকের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকার আকাশ। দ্রুত খবর দেওয়া হয় দমকলে। দ্রুত ওই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আগুন নেভানোর কাজ। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৮টা। কাগজের বাক্স তৈরির কারখানা থেকে গলগল করে বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়া।
এদিকে আগুনের সেই লেলিহান শিখায় ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা কারখানা। ওই কাগজ কারখানার উপরের ফ্ল্যাটে থাকেন বেশ কিছু আবাসিকরা। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি ওই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে আসেন আবাসিকরা। আগুন নেভানোর কাজেও তাঁরা হাত লাগান। তবে খবর পেয়ে দ্রুত আসে দমকল। দ্রুততার সঙ্গে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ।
অন্যদিকে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় নারকেলডাঙা মেন রোডে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। আগুন নেভাতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর দু’জন দমকল কর্মী জখম হয়েছেন। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় অনেকটা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কী কারণে আগুন লাগল সেটা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। কারখানার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কারখানার। তবে দাহ্য বস্তু ভিতরে মজুত থাকাতেই এই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও তা পুরোপুরি এখনও নেভানো সম্ভব হয়নি। ভিতর থেকে আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে। এখানে কিছু রাসায়নিক বস্তুও ছিল। যা আগুন ছড়াতে সাহায্য করেছে। কেন এমন রাসায়নিক এবং দাহ্য বস্তু ছিল? সেটা খতিয়ে দেখছে দমকল। এই ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে দমকল সূত্রে খবর। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা একেবারেই যথাযথ ছিল না। তাই এই অঘটন। কারখানার মালিক স্থানীয় না হওয়ায় ব্যাপার বোঝেন না। তাঁর সঙ্গে এখন যোগাযোগ করছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গতকাল ইন্ডিস্ট্রিয়াল পার্কে আগুন লেগেছিল। তা নেভাতে ১৫ দমকলের ইঞ্জিন কাজ করেছিল হাওড়ায়।