এই সময়: শিশু নিগ্রহ এবং অভব্য আচরণের ঘটনায় অভিযুক্ত শ্রমিকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর কলকাতার ডাফ স্কুল চত্বর। অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ক্যাম্পাসের ভিতরে ঠিক কী ঘটেছিল, তা খতিয়ে দেখতে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে আন্দোলকারী অভিভাবকরা ছাড়াও যে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলছে শ্যামপুকুর থানা।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ওই স্কুলের ক্যাম্পাসে পাঁচ বছরের এক নাবালিকাকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে শৌচালয়ের দিকে নিয়ে যান এক শ্রমিক। গত কয়েকদিন ধরে স্কুলের ভিতরে কাজ করছিলেন রাজমিস্ত্রিরা। অভিভাবকদের দাবি, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন খুদে পড়ুয়াদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। তা–ই নয়, ওই নাবালিকাকে শারীরিক নিগ্রহের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন তাঁরা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শ্রমিকেরা। পুলিশ সূত্রে খবর, যদিও শুক্রবার এক অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।
এ দিনও অভিভাবক সংগঠনের তরফে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে নানা দাবি নিয়ে সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি দেবাশিস ধর এবং রাজ্য সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল প্রধান শিক্ষিকা এবং শ্যামপুকুর থানায় ডেপুটেশন দেয়। সুপ্রিয় বলেন, '২০১৭–য় এ রকম ঘটনা ঘটেছিল, তখন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়।' দেবাশিসের বক্তব্য, 'স্কুল সন্তানদের দ্বিতীয় বাড়ি। সেখানে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে পড়াশোনা করবে কী করে?' প্রধান শিক্ষিকা বলেন, 'অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। শনিবার স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বৈঠক রয়েছে। সমস্ত দাবি নিয়ে শনিবারের বৈঠকে আলোচনা হবে। আমি চাই স্কুলের বাচ্চারা সোমবার থেকে ক্লাসে আসুক।'
জানা যাচ্ছে, অভিভাবকদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের একটি বড় অংশের বক্তব্য, তাঁরা সোমবার থেকে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাবেন। যদিও অন্য অংশের বক্তব্য, স্কুলকে লিখিত ভাবে দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানাতে হবে। তবেই তাঁরা নিশ্চিত হবেন।